যে ফলের খোসাতেই বেশি পুষ্টি

ফল মানেই পুষ্টির আধার। তবে কিছু ফলের খোসাতেই আছে এমন পুষ্টি, যা ওটার ভেতরেও নেই।
আলু : আলুর খোসায় আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার। তাই এর পর থেকে আলুকে ধুয়ে খোসাসহই রান্নার চেষ্টা করুন।

তরমুজ : তরমুজের খোসা তো ফেলেই দিচ্ছেন। সেই সাথে চলে যাচ্ছে সিট্রুলাইন নামের একটি উপকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের ভেতরের চেয়ে খোসাতেই এ উপকরণটা বেশি থাকে। খোসা যদি কাঁচা খেতে কষ্ট হয় তবে আচার, রস বা সবজির মতো ভেজেও খেতে পারেন।

আপেল : আপেলের ভেতরের চেয়ে খোসায় বেশি ভিটামিন ও ফাইবার রয়েছে। রক্তনালীতে কোলেস্টরল জমা বন্ধ করতেও এ ফাইবার সহায়ক। আপেলের খোসায় কোয়ারসেটিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা আপনার মস্তিষ্ক ও ফুসফুসকে আরো ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।

শসা : শসার বেশির ভাগ পুষ্টিই থাকে এর খোসায়। এতে প্রচুর পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে। শসার খোসা ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখুন আপনি যে শসাটি খোসাসহ খাচ্ছেন, তা যেন হয় কীটনাশকমুক্ত।

আম : আমের খোসা ফাইবারে পরিপূর্ণ। এটি ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনস ও ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ। এতে বহু অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ সবই আছে।

কলা : কলার খোসা খাওয়া কঠিন ও তেতো স্বাদের। তবে কোনোভাবে এটি গলধঃকরণ করতে পারলে আছে বেশ উপকার। এতে লুটেইনের মতো পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। লুটেইন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কলার খোসায় ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডও থাকে। যেহেতু খোসাটি শক্ত ও তেতো; তাই খাবার উপযোগী করতে এটিকে কয়েক মিনিটের জন্য সেদ্ধ করে নিতে পারেন। চা বা স্মুদি বানাতে ওভেনেও বেক করে নিতে পারেন।

কমলা : কমলার খোসায় প্রচুর ভিটামিন সি পাবেন। এমনকি এর পরিমাণ ফলের রসের দ্বিগুণ। খোসায় আরো মিলবে ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, রিবোফ্লাভিন (একটি ভিটামিন বি) সমৃদ্ধ। কমলার খোসা হজম করা কঠিন এবং যথারীতি তেতো ঠেকবে। তাই গ্রেটার ব্যবহার করে খোসার আবরণের একটা স্তর নিয়ে নিন। এটি সালাদ, চকোলেট বা আইসক্রিমের সাথে মিশিয়ে উপভোগ করতে পারেন। ইন্টারনেট।