রাজধানীতে মর্টারশেল উদ্ধার

রাজধানীতে মর্টারশেল উদ্ধার

রাজধানীতে মর্টারশেল উদ্ধার

রাজধানীর মিরপুরে নির্মাণাধীন বাড়ির মাটি খননের সময় একটি মর্টারশেল পাওয়া গেছে। উদ্ধারের পর র‌্যাব জানিয়েছে, মর্টারশেলটি সক্রিয় ছিল।

র‌্যাব জানায়, মর্টারশেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরনো। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। এটি ছিল সক্রিয় এবং বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্প্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।বোমাটি উদ্ধারের পরে বেরিবাঁধ সংলগ্ন গোড়ান চটবাড়ি এলাকায় নিয়ে ডিসপোজাল (বিস্ফোরিত) করে র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এসময় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত ওই বাড়ি থেকে মর্টারশেল উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপ-পরিচালক মেজর মো: মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি বাসার খননকাজ করার সময় মর্টারশেল পাওয়া যায়। প্রথমে র‌্যাব-৪ মর্টারশেলের খবর পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই, মর্টারশেলটি ৬০ মিলিমিটার। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, খনন করা মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি, আরো কোনো বোম সেখানে রয়েছে কি না। তবে আমরা আর কোনো বোমার সন্ধান পাইনি।

বোমাটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেজর মো: মশিউর রহমান বলেন, বোমাটির দুটি উৎস হতে পারে। হতে পারে এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তীতে কেউ এটি মাটির নিচে পুঁতেও রাখতে পারে। বোমাটির গায়ে মার্কিংগুলো দেখা যাচ্ছে না, তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না এটি কোথায় তৈরি।

মর্টারশেলটি সক্রিয় কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মর্টারশেলটির ভেতরে এক্সপ্লোসিভ রয়েছে। হয়তো দূর থেকে এটি ফায়ার করা হয়েছিল, এখানে এসে পড়েছিল। সুতরাং এটি আংশিকভাবে সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নাড়াচাড়া করলে অথবা বাইরের বল প্রয়োগ করলে মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হতে পারে।