পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয়

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয়

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয়

চুলা থেকে পেট গ্যাস নিয়ে সমস্যাটা যেন কাটছেই না। চুলার গ্যাসের সমাধান নিজের হাতে না থাকলেও পাকস্থলীর নিয়ন্ত্রণ কিন্তু আপনার হাতেই। লাইফস্টাইল নিয়ে নড়েচড়ে বসলেই মিলবে সমাধান।

পেটে গ্যাস তৈরি হয় মূলত দুটো কারণে। প্রথমত. আমরা খাওয়ার সময়ই অনেক বাতাস গিলে ফেলি। যার বেশির ভাগ ঢেকুরের সাথে বেরিয়ে এলেও অনেক সময় অনেকটুকু বাতাস পাকস্থলীতে আটকা পড়ে। দ্বিতীয় কারণটা হলো হজম। হজমের সময় খাদ্যকণা ভাঙতে থাকে। তখন বৃহদান্ত্রে তৈরি হতে থাকে গ্যাস। সেটা পরিমাণের চেয়ে বেড়ে গেলেই ফাঁপতে থাকে পেট। জেঁকে বসে জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তিকর অনুভূতি।

হাপুস-হুপুস করে খেতে বসে বেশি করে বাতাস গেলার পর যদি অন্ত্রেও অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয়, তবে দুটো মিলেমিশে আপনাকে যন্ত্রণার সাগরে ডুবিয়ে দিতে পারে। তাই খেতে হবে ধীরেসুস্থে। পানি বা পানীয় পানে এড়িয়ে চলতে হবে স্ট্র। কারণ গ্লাসে চুমুক দিয়ে পানি পান করলে ভেতরে বাতাস ঢোকে কম।

এ ছাড়া শিমজাতীয় শস্য, আপেল, দই, পাউরুটি, পনির, আইসক্রিম এসব একসাথে খেতে যাবেন না। এসব খাবার হজমের সময় কিছুটা বেশি গ্যাস তৈরি করে। তাই এগুলোর একটি খেলে বাকিগুলো খেতে হবে কিছু সময় বিরতি দিয়ে।গ্যাসের সমস্যায় চটজলদি সমাধান : গ্যাস নিয়ে যদি অবস্থা জেরবার হয়ে যায় তবে আছে কিছু ঝটপট সমাধান।

হাঁটাহাঁটি : যদি বুঝতে পারেন গ্যাস নিয়ে সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন, তবে সাথে সাথে চেষ্টা করুন খানিকটা হাঁটাচলা করার। এতে সমস্যা গুরুতর হওয়ার আগেই কিছুটা হালকা হয়ে আসবে।

ইয়োগা : যদি গ্যাসটা একেবারে চেপে ধরে তবে একটি সহজ ইয়োগা করলেও কিছুটা আরাম পেতে পারেন। চিৎ হয়ে সটান শুয়ে পড়ুন। দুই হাঁটু ভাঁজ করে বুকের দিকে নিয়ে আসুন। হাত দিয়ে পা দুটো আঁকড়ে ধরে বুকের কাছে চেপে ধরার চেষ্টা করুন। একইসাথে মাথাটাও হাঁটুতে ছোঁয়ান। এভাবে ২০ সেকেন্ড থাকুন।

পানীয় : ওষুধের পেছনে ছোটার আগে কুসুম গরম পানি পান করে দেখুন। কিছু হারবাল পানীয়ও এ ক্ষেত্রে কাজে আসে। এক্ষেত্রে পুদিনা বা আদার চায়ের উপকারের কথা শোনা যায় বেশি। আবার চাইলে নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন একটি পানীয় ১০ গ্রাম জিরা গুঁড়ার সাথে ১০ গ্রাম মৌরি গুঁড়া মিশিয়ে গরম পানিতে ২০ মিনিট রেখে পান করতে পারেন। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলেও অনেক সময় গ্যাসের জ্বালাপোড়া কমে।