দিনে ৩২ বার সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ

দিনে ৩২ বার সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ

ফাইল ছবি

দিন দিন মহাকাশবাণিজ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে। ধনকুবেরদের অনেকেই এখন ঝুঁকছেন সেদিকে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ধনকুবের জেফ বেজোস ও ইলন মাস্কের মধ্যকার প্রতিযোগিতা রীতিমতো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই জেফ বেজোসের মহাকাশ পর্যটন সংস্থা ব্লু অরিজিন ঘোষণা দিয়েছে, তারা মহাকাশে একটি মহাকাশ স্টেশন উৎক্ষেপণ করতে চায়। অরবিটাল রিফ নামের মহাকাশ স্টেশন থেকে নভোচারীরা দিনে ৩২ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা এ মহাকাশ স্টেশনের নাম হবে অরবিটাল রিফ। এটি ব্যবসায়িক পার্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া মাইক্রোগ্র্যাভিটি গবেষণা ও উৎপাদনে এটি সমর্থন দেবে। ব্লু অরিজিন এটি তৈরি করবে আরেক মহাকাশ সংস্থা সিয়েরা স্পেসের সঙ্গে যৌথভাবে। এতে সমর্থন দেবে উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং ও অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি। এ দশকের দ্বিতীয়ার্ধে এ লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা তাদের।

ব্লু অরিজিনের নির্বাহী ব্রেন্ট শেরউড বলেন, ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও অন্য মহাকাশ সংস্থাগুলো মহাকাশযান ও মহাকাশ আবাস গড়ে তুলেছে। এই দশকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য আমাদের পথ তৈরি করে দিয়েছে।

শেরউড বলেন, ‘আমাদের সেবা বৃদ্ধি করব। খরচ কমিয়ে আনব। মহাকাশযাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।’

ব্লু অরিজিনের তথ্য অনুযায়ী, তাদের অরবিটাল রিফ ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়বে, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সামান্য ওপরে। ৮৩০ ঘনমিটার আয়তনের এ মহাকাশ স্টেশন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে খানিকটা ছোট। যাতে ১০ জন থাকতে পারবেন।

ব্লু অরিজিন তাদের নিউ শেপার্ড নামের রকেটের মাধ্যমে ইতিমধ্যে মহাকাশ পর্যটনে সফল হয়েছে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্টার ট্রেক তারকা ৯০ বছর বয়সী উইলিয়াম শ্যাটনারকে মহাকাশের প্রান্ত ঘুরিয়ে এনেছে বেজোসের প্রতিষ্ঠান।

সূত্র: রয়টার্স