পাবনায় টিএমএসএস’র বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতের অভিযোগ

পাবনায়  টিএমএসএস’র বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতের অভিযোগ

পাবনায় টিএমএসএস’র বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতের অভিযোগ

পাবনার সুজানগরে টিএমএসএস’র বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতের অভিযোগ ওঠেছে। পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এনজিও টিএমএসএস এর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ করেছেন। গ্রাহক হাফিজা খাতুনের মৃত্যুর পর তার অভিভাবক (স্বামী) কে সদস্য দেখিয়ে কাগজপত্র সংশোধন করেন এনজিওটির কর্মকর্তারা। সঞ্চয় আমানত ও ঋণের পাশ বহি সংশোধন করতে ভুলে গেছি মর্মে টিএমএসএস এর ম্যানেজার এখন সাঁফাই গাচ্ছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রুহুল আমীনের স্ত্রী হাফিজা খাতুন  জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই শাখার টিএমএসএসের সদস্য হন ৭ বছর পূর্বে। এসময়ে তিনি বিভিন্ন সময় ৪ বার কিস্তি গ্রহণ করেন এনজিওটি থেকে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর হাফিজা খাতুনের নামে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করেন টিএমএসএস দুলাই শাখা। এনজিওটি ঋণের টাকা প্রদানের পূর্বে গ্রাহক হাফিজা খাতুনের স্বামীর নামীক চেক বইয়ের সাদা পাতা জামানত হিসেবে গ্রহণ করেন। সঞ্চয় আমানত ও ঋণের পাশ বহিতে গ্রাহকের নাম হাফিজা খাতুন ও অভিভাবক হিসেবে স্বামী রুহুল আমীনের নাম ব্যবহার করে পাশ বহি প্রদান করেন এনজিওটি। গত ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক হাফিজা খাতুন দুই কিস্তি পরিশোধ করে অসুস্থ জনিত কারণে মারা গেলে এনজিওর নিকট থাকা কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের নাম পরিবর্তন হয়ে রুহুল আমীন করা হয়। এঘটনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় টিএমএসএস এর দেয়া স য় আমানত ও ঋণের পাশ বহি।  যেখানে গ্রাহক রয়েছে হাফিজা খাতুন ও অভিভাবক হিসেবে রুহুল আমীনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

 

এদিকে গত ৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর টিএমএসএস এর দুলাই শাখার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতের অভিযোগ করেছেন রুহুল আমীন।

রুহুল আমীন জানান, এনজিওটি প্রতি ঋণের সময় সাদা চেকের পাতা গ্রহণ করত। আমার স্ত্রী মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট কর্মী ও ম্যানেজার যোগসাজেশে জালিয়াতির মাধ্যমে অভিভাবক থেকে আমাকে গ্রাহক বানিয়ে ঋণের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছে। তারা আমার স্ত্রীর নামে বীমা, ডিপিএস ও স য়ের টাকা নিয়মিত জমা গ্রহণ করত।

টি,এম,এস,এস এর দুলাই শাখার ম্যানেজার শামসুল আলম জানান, হাফিজা খাতুন অসুস্থ হলে আমরা যাবতীয় কাগজপত্রে তার স্বামী রুহুল আমীনকে গ্রাহক করি। স য় আমানত ও ঋণের পাশ বহিতে ভুলক্রমে নাম পরিবর্তন করা হয়নি। ওই গ্রাহককে নতুন বই দেয়া উচিত ছিল বলে ম্যানেজার জানান।