ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ নিহত ২

ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ নিহত ২

নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক (৩৫) ও নাটঘর ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে বাদল সরকার (২৩)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবুল কাশেমের স্থলে তার ছেলে এরশাদুল হক এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে চলছিল। সেই মাহফিলে এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেল যোগে যান। ওয়াজ মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিলেন এরশাদ।

পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় এরশাদুল মারা যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বিষয়টির সত্যতা করে আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, বাদলের পর এরশাদও ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আটক করতে চেষ্টা চলছে।