রাশিয়ার উদ্বেগকে উপেক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন

রাশিয়ার উদ্বেগকে উপেক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

পূর্ব ইউরোপে ইউক্রেনকে ঘিরে উত্তেজনা কমাতে রাশিয়ার দেয়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের জবাবে মস্কোর উদ্বেগগুলো অস্বীকার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে এক ফোনালাপে এই মন্তব্য করেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি দফতর ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ফোনালাপে পুতিন ম্যাক্রোঁকে বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্তের আগে ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর জবাব নিরীক্ষণ করবে মস্কো।

ফোনালাপে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার মৌলিক উদ্বেগের জায়গাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো কোনো জবাব দেয়নি।’

পুতিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়ার প্রস্তাবনায় মস্কোর মূল দাবিগুলো ছিলো, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণ না করা, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে আগ্রাসী সমরাস্ত্র মোতায়েন না করা এবং পূর্ব ইউরোপের সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ওয়ারশ প্রতিরক্ষা চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর ন্যাটো জোটে প্রবেশের আগে ‘সামরিক সামর্থ্য ও স্থাপনা’ পূর্বের অবস্থানে সরিয়ে নেয়া।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জবাবে এই বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পুতিন।

অপরদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ফোনালাপে পুতিন জানিয়েছেন যে তিনি নিজেও চান না পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হোক।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ইউক্রেন নিয়ে পূর্ব ইউরোপে উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া পরিস্থিতির উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে কিছু দাবিসহ এক প্রস্তাব পাঠায়।

এর প্রত্যুত্তরে গত ২৬ জানুয়ারি কয়েক দফা বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবের জবাব পাঠায়।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ইউক্রেনের অভিযোগ, দেশটির পূর্বাঞ্চলে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াইরত রুশপন্থী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সহায়তার নামে ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।

অপরদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, সামরিক বাহিনীর মহড়ার অংশ হিসেবে ওই সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে।

একইসাথে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বিদ্রোহী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা চলে আসছে।

সূত্র : আলজাজিরা আনাদোলু এজেন্সি