আর এভাবে কতদিন চলবে মাধ্যমিক সেক্টর

আর এভাবে কতদিন চলবে মাধ্যমিক সেক্টর

জাহিদ হাসান (নয়ন)

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তীব্র শিক্ষক সংকট নিরসনের জন্য ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন লিখিত(এমসিকিউ)  পরীক্ষা নেন।২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিএসসি ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করেন।

কিন্তু মেডিকেল ও পুলিশ ভেরিফিকেশন নামক কার্যক্রম সমাপ্ত করতে ১৩ মাসের ও অধিক সময় অতিবাহিত হয়।সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশ করেন।২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে সারা বাংলাদেশে ২০৬৬ জনকে যোগদান করানো হয়।

  নতুন অনেকের উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পদায়ন হয়েছে।তাদের যোগদানের  দুই মাস পরও অনেকেই বেতনের মুখ দেখেননি।সামনে পহেলা বৈশাখ ও ইদুল ফিতর।এমতাবস্থায় চাকরি করেও তাদের বেতনহীন মানবেতর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

অনেক স্কুলে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এর ফলে তৈরি হয়েছে সমন্বয়হীনতা।এই সমন্বয়হীনতায় পূর্বতন শিক্ষকদের বেতন পেতে সমস্যা না হলেও বলির পাঠা হচ্ছে নতুন যোগদান করা তরুন শিক্ষকরা।

গত ৮ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি) এই সমন্বয়হীনতা দূর করার জন্য একই স্কুলে বছরের পর বছর চাকরি করা পুরাতন শিক্ষকদের বদলির আদেশ দিয়েছিল।কিন্তু ৮ দিনের মাথায় ১৬ মার্চ কোন এক অজানা কারনে সেই বদলির আদেশ অল্প কয়দিনের  মধ্যেই বাতিল হয়ে যায়।এর ফলে মূলত সিস্টেমের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে জাতি গড়ার নবীন কারিগররা।তাদের বেতন-বোনাসের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।

মাউশি বেশ কয়েকবার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমন্বয়ের আশ্বাস দিলেও তা এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।ফলে তরুন শিক্ষকরাও থেকে যাচ্ছেন অন্ধকারে।

এছাড়াও শুরুতেই বিনা পারিশ্রমিকে সেবা দেওয়ার জন্য মাউশি সম্পর্কে তাদের মনে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হচ্ছে।শেষ পর্যন্ত নবীন শিক্ষকরা বেতনহীন চাকরির জন্য ক্লাসে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারছেন না।এর দ্বারা মূলত বঞ্চিত হচ্ছে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।