জিলহজ মাসের রোজার ফজিলত

জিলহজ মাসের রোজার ফজিলত

প্রতীকি ছবি

জিলহজ মাস, আরবি ১২ মাসের সর্বশেষ মাস। এ মাসটি বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস।

এ মাসের নবম দিন ও রাত আল্লাহ তায়লার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ দিনটি আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় অবস্থানের রাত।

বিশেষ করে ৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে রাসুল (সা.) সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে আরাফার দিনে রোজা রাখল অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তার এক বছর পূর্বের এবং এক বছর পরের তথা দুই বছরের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন’ (মুসলিম)। তবে যারা হজ আদায়ে ওইদিন আরাফায় থাকবেন, তাদের জন্য এই বিধান নয়। 

কেননা মহানবী (সা.) আরাফায় অবস্থানকালে এই রোজা রাখেননি। আরাফায় যারা অবস্থান করবেন, তারা যদি রোজা রাখেন, তাহলে হয়ত অন্যান্য ইবাদত রয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে তাদের কষ্ট হতে পারে। তাই আরাফায় যারা অবস্থান করবেন, তাদের জন্য রোজা না রাখাটাই উত্তম।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য (তিরমিজি)।