মাহে রমজানের শিক্ষাকে বছরজুড়ে ধরে রাখার শিক্ষা দেয় শাওয়ালের ছয় রোজা। শাওয়াল আরবি শব্দ।
ফজিলত
মাহে রমজান দানশীলতার শ্রেষ্ঠ মাস। এই মাসে দান-সদকাসহ সবরকম নেক আমলের প্রতিদান বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। এছাড়াও দান-সদকা দ্বারা সম্পদে বরকত হয়। বিপদ-আপদ দূর হয়।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা ও তার প্রিয় হাবিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার জন্য দরুদ শরিফ বারংবার পাঠ একটি উত্তম মাধ্যম। এবং অন্তর পরিশুদ্ধির জন্য অন্যান্য ইবাদতের মতো দরুদ শরিফ পাঠও একটি উত্তম আমল।
রমজান মাসে রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি অবগত। তারপরও এমন অনেকেই আছেন যাদের এ মাসে রোজা না রাখলেও চলে। এখানে আমরা কাদের জন্য এবং কোন কোন অবস্থায় রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে- এই বিষয়ে আলোচনা করবো।
শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) হলো পবিত্র শবে বরাত। ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত।
পবিত্র রমজান আগমনের আগেই রমজানের প্রস্তুতির মাস রজব ও শাবান। আরবি হিজরি সনের ৭ম মাস রজবের পরই শুরু হয় ৮ম মাস সাবান। আর এ শাবান হলো ফজিলত ও অনন্য মর্যাদাপূর্ণ একটি মাস।
শবেমেরাজ শব্দটির বাংলা অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। আর ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মিরাজ’ বলা হয়।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তাহের ২ দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখতেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিন ২টি এমন, যে দিন ২টিতে বান্দার আমলসমূহ মহান আল্লাহর সামনে হাজির করা হয়।
কিছু আমল এমন আছে, যেগুলো করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না, অনেক জ্ঞানের অধিকারীও হতে হয় না। কিন্তু এগুলোর ফজিলত অনেক বেশি।
মহান আল্লাহর একত্ববাদের নাম তাওহিদ। তাওহিদের মূল বাক্য ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’। এই কালিমা অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং বাহ্যিক আমল করার মাধ্যমে ঈমান পূর্ণ হয়।