আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। সময়মতো জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জামাতে নামাজ পড়ার জন্য কাতার সোজা করার গুরুত্ব অপরিসীম।
ফজিলত
প্রতিটি জিনিসেরই চূড়া বা শীর্ষ রয়েছে। আর কুরআনুল কারিমের চূড়া বা শীর্ষ হলো ‘আয়াতুল কুরসি’। আয়াতুল কুরসি মূলত কুরআনুল কারিমের সবচেয়ে বড় সূরা আল বাকারার ২৫৫নং আয়াত। যেটি কালামে পাকের একটি ফজিলতপূর্ণ আয়াত। হাদিস শরিফে এ আয়াতে কারিমার অনেক গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি আলোকপাত করা হলো-
কোরআন ফজিলতপূর্ণ গ্রন্থ। এর বিশুদ্ধ তিলাওয়াত একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। প্রতিটি হরফ তিলাওয়াতের বিনিময়ে সর্বনিম্ন দশটি নেকি পাওয়া যায়।
পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের শিক্ষা। সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করি। এরমধ্যে একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ একটি পদ্ধতি। সাক্ষাতের সময় প্রথমেই আমরা সালাম বিনিময় করি এবং মুসাফাহা করি। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ : ৫২১২)।
নবী সা: স্বীয় জীবদ্দশায় মহররম ও আশুরার ফজিলত, আমল বিষয়ে বলে গেছেন, যা একাধিক সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। অপর দিকে, কারবালার ঘটনা ঘটেছে রাসূল সা:-এর ইন্তেকালের অর্ধশতাব্দী পরে অর্থাৎ ৬১ হিজরিতে।
জিকির হলো সর্বোত্তম ইবাদত। হজরত আবু দারদা রা: সূত্রে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: সাহাবায়ে কেরামদের সম্বোধন করে ইরশাদ করেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন বস্তুর সংবাদ দেবো না যা তোমাদের যাবতীয় আমলের চেয়ে উত্তম, তোমাদের প্রভুর কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য, তোমাদের মর্যাদা বিশেষভাবে বর্ধনকারী।
জিলহজ মাস, আরবি ১২ মাসের সর্বশেষ মাস। এ মাসটি বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস।
অপ্রাপ্তি নয়, প্রাপ্তির সংখ্যাই ঈমানদারের জীবনে বেশি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি (নিজেদের জীবনে) আল্লাহর নেয়ামত গণনা করো, তবে গুনে শেষ করতে পারবে না।’ কিন্তু আমরা জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো নিয়ে পড়ে থাকি বলে প্রাপ্তির শুকরিয়া আদায় করতে পারি না। ফলে অশান্তি আমাদের জীবন থেকে যায় না।
রমজানে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, বন্ধ করা হয় জাহান্নামের দরজা।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ " .
করোনা মহামারীর মাঝে এখন চলছে আরবি রজব মাস, দেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার । ফলে রজব মাসের গণনা শুরু হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, সে হিসাবে আগামী ২৬ রজব তথা ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে মিরাজ।