বিশ্ব পরিস্থিতি জানতে মহাজ্ঞানী হওয়া লাগে না...

বিশ্ব পরিস্থিতি জানতে মহাজ্ঞানী হওয়া লাগে না...

ইফতেখায়রুল ইসলাম , এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি

আমার আপন দুই বোন ও অনেক আত্মীয় স্বজন দেশের বাইরে থাকেন। সেখানেও এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। প্রত্যেকে নিজেদের মত করে খরচ কমিয়ে, বাড়িয়ে পরিবার চালানোর চেষ্টায় আছে। 

বিশ্ব পরিস্থিতি জানতে মহাজ্ঞানী হওয়া লাগে না, একটু জাস্ট অথেনটিক সংবাদ মাধ্যমগুলো দেখলে ও পড়লেইে বুঝা যায়!  

এক নাগাড়ে অনেক বছর আমরা শহরে বিদ্যুৎের সংকটের মধ্য দিয়ে যাইনি বললেই চলে। আমার গ্রামের বাড়িতেও লোডশেডিং হতো না বললেই চলে। তাই আমরা প্রায় ভুলেই গেছি সেটির অভাব কেমন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে ও নিজের নাগরিকদের তৈরি রাখতে চায়, সেটি খুবই ভাল দিক বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। 

করোনার মত একটি অতিমারী আমাদের পার করতে হবে এটা আমরা কখনোই ভাবিনি। আমাদের সেই অতিমারী এখনো পার করতে হচ্ছে। পৃথিবীতে আমাদের চিন্তা, চেতনার বাইরে অনেককিছুই ঘটে যায় যেসবের মুখোমুখি হতে হলে কৌশলী হতে হয়। কৌশল অবলম্বন করাই বরং বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। সমালোচনা করতে হলে সেটি বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করাই যথাযথ হবে বলে বোধ করি!

দেশের মঙ্গল চিন্তা আমরা সবাই করি কিনা জানি না। তবে দেশের মঙ্গলে কাজ করার সুযোগ আমরা সবাই সবসময় পাই না (পেশাগত ও অন্যান্য শ্রমের কথা বাদ দিয়ে বলছি!) 
তাই সময়ে সেটি প্রমাণের সুযোগ পেলে নৈতিকভাবে তা প্রতিপালন করা উচিত। দিনশেষে দেশটাকে অনেক ভালবাসি। সকলের মঙ্গল হোক।

লেখক : ইফতেখায়রুল ইসলাম

এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)