ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনের জামিন

ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট  হারুনের জামিন

ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনের জামিন

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ খুরশীদ আলম খান বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আদালতের আদেশের বিষয়টি দুদক-কে অবহিত করেছি। জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন বিষয়ে কমিশন থেকে সিদ্বান্ত এলে আমরা পদক্ষেপ নিব।

দুদকের আইনজীবী বলেন, আদালত হারুন-অর-রশিদকে স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন দিয়েছেন। হাইকোর্টে আনা আপিলের পেপারবুক প্রস্তুত করতেও আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে জামিন শুনানিকালে হারুন-অর-রশিদের মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মোঃ মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং দুই শ’ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।

সূত্র : বাসস