বিমানবন্দরে শাহরুখ খানের সাথে কী আচরণ করা হয়েছিল!

বিমানবন্দরে শাহরুখ খানের সাথে কী আচরণ করা হয়েছিল!

বিমানবন্দরে শাহরুখ খানের সাথে কী আচরণ করা হয়েছিল!

ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছে বলিউড সুপার স্টার শাহরুখ খানকে। এই খবরেই শনিবার সরগরম ছিল ইন্টারনেট। শোনা যায় শনিবার মুম্বাই বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের কাছে জেরার মুখে পড়েন সুপারস্টার শাহরুখ খান। এদিন শারজাহ থেকে ফিরছিলেন সুপারস্টার। তার কাছে ছিল বহুমূল্যের বেশ কিছু জিনিস। ওই কারণেই মুম্বই বিমানবন্দরে তাকে আটকায় শুল্ক দফতর। ১৮ লক্ষ রুপির ঘড়ির খাপ ছিল তার কাছে। ওই কারণেই তাকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক দফতর। ৬ লাখ ৮৩ হাজার রুপি কর দেয়ার পরেই ছাড়া হয় তাকে। শোনা যায়, প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শাহরুখকে। পরে অবশ্য জানা যায় যে শাহরুখ ও তার ম্যানেজার পূজা দাদলানিকে ছেড়ে দেয়া হলেও আটকে রাখা হয়েছিল তার দেহরক্ষীকে।

তবে সম্প্রতি জানা যায় যে শাহরুখকে নয়, আটক করা হয়েছিল তার দেহরক্ষী ববি সিংকে। শনিবার শারজাহ থেকে ফেরার সময় মুম্বই বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের কর্মকর্তারা আটকায় শাহরুখের দেহরক্ষীকে। সেখানে তার ব্যাগ থেকে দুটি ঘড়ি ও চারটি ঘড়ির বাক্স উদ্ধার হয়, যার মূল্য ১৮ লাখ রুপি। তখন তাকে জিগ্গেস করা হয় যে তিনি এই জিনিসগুলোর কর দেবেন নাকি? না হলে শুল্ক দফতর তা বাজেয়াপ্ত করবে। তখনই সেই টাকা দিতে রাজি হয়ে যান শাহরুখ। ৬.৮৩ লাখ রুপি কর দেয়ার পরেই বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেয়া হয় ববি সিংকে।

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মুম্বই বিমানবন্দরে শাহরুখ খানকে আটকানোর খবর যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা একেবারেই সত্যি নয়। এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পক্ষ থেকে অভিনেতার দেহরক্ষী রবি সিংহকে আটকানো হয়েছিল। কারণ সে শুল্ক দফতরের নিয়ম ভেঙেছেন। এরপর শুল্ক দফতরের প্রাপ্য টাকা দেয়ার পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কোনো কারণেই শাহরুখ খানকে আটকানো হয়নি।

শুক্রবার গ্লোবাল আইকন অফ সিনেমা অ্যান্ড কালচারাল ন্যারেটিভ অ্যাওয়ার্ডের দ্বারা সম্মানিত করা হয় শাহরুখ খানকে। শারজাহর এক্সপো সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল বইমেলা। সেখানেই এই সম্মান দেয়া হয় তাকে। রাইটিং ও ক্রিয়েটিভিটির জগতে তার অবদানের জন্যই এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় তাকে। এদিনতাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্যের কথা। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই, যেখানেই বাস করি, আমাদের রং যাই হোক, আমরা যে ধর্মই অনুসরণ করি না কেন, যে গানেই নাচি না কেন, আমাদের সংস্কৃতি হওয়া উচিত ভালোবাসা শান্তি ও সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ।’
সূত্র : জি নিউজ