সুস্থ থাকতে আঁশযুক্ত খাবার

সুস্থ থাকতে  আঁশযুক্ত খাবার

ছবি:সংগৃহীত

খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফাইবার। সুস্থতার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবার বা আঁশযুক্তযুক্ত খাবার রাখা বাঞ্জনীয়। প্রতি ১০০০ ক্যালোরির জন্য ১৪ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা। যদি এর চেয়ে কম ফাইবার গ্রহণ করা হয়, তাহলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে গ্যাস ও পেটের অন্যান্য পীড়া ইত্যাদি।

অদ্রবণীয় ফাইবারের অভাবের কারণেই এই তিনটি সমস্যার সৃষ্টি হয়। অদ্রবণীয় ফাইবার হজম হয় না। কিন্তু এটি পরিপাক নালী দিয়ে খুব সহজেই বের হয়ে যেতে পারে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ারও আশঙ্কা থাকে না। ক্ষুদ্রান্তে গিয়ে এগুলো কোলেস্টেরলের সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে রক্তস্রোত থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে বের করে দেয়।

 তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার অথবা যে খাবারগুলোতে আঁশ আছে, এমন খাবার খাওয়া উচিত। রক্তে চিনির মাত্রা কমাতেও ফাইবারের ভূমিকা রয়েছে। কারণ, ফাইবার ক্ষুদ্রান্ত থেকে রক্তস্রোতে চিনির শোষণ ধীর করে দেয়। সবজি, ফল-ফলালি, গম ও ভুট্টার রুটি, লাল চাল, বীজ জাতীয় খাবারে উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কাঁচা পেঁপে তরকারি হিসেবে খেতে এবং ইসুবগুলের ভুসির শরবত পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট।