ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই

ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই

ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় ও গবেষণাধর্মী প্রকাশনায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুলের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।

পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যের শুরুতে এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায়  সহযোগিতা সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুসংহত ও গতিশীল হবে। এ ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপের ফলাফল অত্যন্ত ইতিবাচক ও সুদূর প্রসারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এটি দু’দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতাকে আরও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুত আক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে আমাদের দুই অঞ্চলের জনগণ ঐতিহাসিক সম্পর্কে আবদ্ধ।তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের আদর্শ, দর্শন ও নীতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করেছে বলে  তিনি মন্তব্য করেন।

ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুত আক বলেন, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, ফলশ্রুতিতে দু’দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে- এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে কনসাল জেনারেল  অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সূত্র : ইউএনবি