রিয়ালকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা বার্সেলোনার

রিয়ালকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা বার্সেলোনার

সংগৃহীত

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে আগের ম্যাচের রিয়াল মাদ্রিদকে যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ম্যাচে রিয়াল যেন নিজেদের হারিয়েই খুঁজছিল। প্রতিপক্ষের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে শিরোপা হাতছাড়া হলো আনচেলত্তির দলের। অন্যদিকে, রিয়ালের অগোছালো খেলার দিনে নান্দনিকতা বজায় রেখে স্প্যানিশ সুপার কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টায় সৌদি আরবের রিয়াদে কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্প্যানিশ সুপার কাপে ৩-১ গোলে জিতেছে কাতালানরা। ফাইনালে জয়ের নায়ক বার্সার গাভি। তিনি নিজে গোল করার পাশাপাশি রবের্ত লেভানদোভস্কি ও পেদ্রির গোলে অবদান রেখেছেন।

ম্যাচের পুরোটা সময় বার্সেলোনার কাছে পাত্তাই পায়নি গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। ম্যাচের সান্তনা ছিল শেষ মুহূর্তের করিম বেনজেমার গোলটি। এই জেতার মধ্য দিয়ে গতবারের সেমিফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বার্সা।

স্প্যানিশ সুপার কাপের রেকর্ড ১৪তম শিরোপা জিতল বার্সেলোনা। তবে চার দলের নতুন আঙ্গিকের এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার শিরোপা জিতেছে দলটি।

পুরো ম্যাচে রিয়ালকে চাপে রেখেছিল বার্সেলোনা। খেলার প্রথম ১৪ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে রবের্ত লেভানদোভস্কি গোলের সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হন তিনি। এর পরের মিনিটে তিনি আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। এরপর কয়েক মিনিট রিয়াল আক্রমণে সক্রিয় হলে গোলের দেখা প্রায় পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেনজেমা সেই সুযোগ মিস করেন।

এরপরের খেলা বার্সার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় বার্সেলোনা।

সতীর্থের পাসে লেভানদোভস্কি বল বাড়ান বক্সে থাকা গাভির কাছে। গাভি নিখুঁত শটে রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক বছরের গোল খরা দূর করেন তিনি। সবশেষ গোল করেছিলেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে।

প্রথম গোলের পর থেকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে বার্সা। সফল হয় ৪৫ মিনিটের পাল্টা একটি আক্রমণে।মাঝমাঠ থেকে ফ্রেডি ডি ইয়ংয়ের অসাধারণ লম্বা পাসে গাভিকে বল দেন। গাভি সেই বল নিয়ে কৌশলে তা বাড়িয়ে দেন লেভানদোভস্কিকে। ফাঁকা পেয়ে তিনি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান।

এল ক্লাসিকোয় এই পোলিশ ফরোয়ার্ড টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন। আগের গোলটি করেছিলেন সেমিফাইনালে রিয়াল বেতিসের জালে।

প্রথমার্ধে ২ গোল নিয়ে খেলতে নেমে বার্সা দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠলেও কয়েকটি সুযোগ মিস করে। তবে গো্লের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কাতালান এই ক্লাবটির।

নিজেদের সীমানায় বল হারিয়ে তৃতীয় গোল হজম করতে হয় রিয়ালের। প্রতিপক্ষ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বাঁ দিকে গাভিকে পাস দেন লেভানদোভস্কি। তিনি অসাধারণ দক্ষতায় ডিবক্সেই থাকা পেদ্রিতে সেই বল পাস দিলে তিনি অনায়াসেই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান।

খেলার ৮০ মিনিটে রদ্রিগোর একটি দূরপাল্লার শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন।

অতিরিক্ত সময়ের তিন মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান বেনজেমা। বক্সে প্রথম শট প্রতিহত হওয়ার পর দ্বিতীয় চেষ্টায় বার্সার জালে গোল জড়ান এই ফরাসী তারকা। তাতে শেষ রক্ষা হয়নি রিয়ালের। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার কাছে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে এক মৌসুম অপেক্ষা করার পর আবারও নিজেদের ঘরে শিরোপা উঠল বার্সেলোনা।