গল্প-গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন সায়ান

গল্প-গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন সায়ান

সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান

সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান প্রথম কোনো একক সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। যদিও সংগীতশিল্পী হিসেবে তার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ পনেরো বছর আগে। ২০২৩-এ এসে ভাঙলেন নিজের অলিখিত প্রথা। একটি অনুষ্ঠানজুড়ে গাইলেন প্রাণ উজাড় করে, বিলি করলেন মুগ্ধতা। আর সামনে থাকা শ্রোতারাও খুঁজে পেলেন শীতসন্ধ্যায় প্রতিবাদ, প্রেম আর দেশাত্মবোধের উষ্ণ মুগ্ধতা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট-মণ্ডলে প্রথমবারের মতো একক অনুষ্ঠানে গেয়েছেন তিনি। টিকিটের বিনিময়ে যেখানে নিজের চার হালি গান শুনিয়েছেন সায়ান। ‘আমি গাইছি সবার জন্য’ শীর্ষক এ আয়োজনে নাট-মণ্ডল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। সায়ান বললেন, একদম হল ভর্তি হয়ে যাবে মানুষে, সেটা প্রত্যাশা করিনি।

‘আমি গাইছি সবার জন্য’ আয়োজনে দুই ভাগে গান পরিবেশন করেছেন সায়ান। প্রথম অংশে তিনি গিটার ও মাউথ অর্গান বাজিয়ে গেয়েছেন প্রতিবাদ, দেশ, মানুষ, রাজনীতি বিষয়ক গান। এরমধ্যে ধারাবাহিকভাবে ছিল ‘সুন্দর হবো’, ‘রবীন্দ্র নজরুল’, ‘আমি গাইছি সবার জন্য’, ‘জনতার বেয়াদবি’, ‘আমার রাজনীতি’, ‘ও নেতা ভাই’, ‘আবরার ফাহাদ’ ও ‘হুঁশিয়ারি’ গানগুলো। দ্বিতীয় অংশে সায়ান কণ্ঠ মেলেছেন পিয়ানোর সঙ্গে।

গেয়েছেন কিছুটা নরম সুরের সম্পর্ক ও প্রার্থনার গান। এই তালিকায় ছিল ‘মুখোশ’, ‘লাটাই’, ‘কিছু বলো’, ‘এখানেই সুখ ছিল একদিন’, ‘এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধু’, ‘ওঠ মন’ ও ‘মাটির সাথে দোস্তি’।

প্রতিটি গানের শুরুতেই সেটার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন সায়ান। ফলে পুরো অনুষ্ঠানটি যেন একটি পূর্ণ জীবনবোধের আখ্যান হয়ে উঠেছিল। সায়ানের এই একক অনুষ্ঠানটির মূল আয়োজক ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী রিশান মাহমুদ রনি।