আজ হজ নিবন্ধনের শেষ দিন

আজ হজ নিবন্ধনের শেষ দিন

ফাইল ছবি

হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে আজ। কোটা পূরণ না হওয়ায় এ বছর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলে গত ৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় মেয়াদের পর নিবন্ধনের সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না। ফলে তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করেও নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হচ্ছে না। ২০২৩ সালে হজের চুক্তি অনুযায়ী, খালি থাকছে প্রায় ২০ হাজার কোটা। ফলে এবার ১৬ শতাংশ কোটা খালি রেখে সৌদি আরবে হজ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে ওই ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে‌ বলেও জানানো হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজ নিবন্ধন শুরু হয়; সময়সীমা ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু নিবন্ধনে তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও কোটা পূরণ না হওয়ায় সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। কিন্তু কোটার বিপরীতে অর্ধেক হজযাত্রীও নিবন্ধিত না হওয়ায় তাই আবার ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

প্রাক-নিবন্ধন করা কয়েকজন হজযাত্রী জানান, হজে যাওয়ার জন্য র্দীঘদিন প্রাক-নিবন্ধন করে অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু এত টাকা খরচ করে হজে যাওয়ার সামর্থ নেই তাদের। তাই নিবন্ধন করেও হজে যাচ্ছেন না তারা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক হিসেবে প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

এদিকে সৌদি সরকার এ বছর হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক তথা আঙুলের ছাপ চালু করতে যাচ্ছে। এ জন্য হজযাত্রীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট আপাতত নিজের কাছে রাখতে বলা হয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভিসার আবেদন সাবমিট করার জন্য বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

চলতি বছর কোরবানি ও ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া হজের প্যাকেজ ধরা হয়েছে সরকারিভাবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা আর বেসরকারিভাবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।