যে ৩ কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা

যে ৩ কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা

যে ৩ কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা

মাদারীপুর জেলার শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে ১৯ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলাবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে রিপোর্ট জমা দেন সদস্যরা।

বুধবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা জানান, ইমাদ পরিবহনের বেপরোয়া গতি, বাসটির ফিটনেস না থাকা ও মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।এছাড়া প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস নিশ্চিত করা ও চালকের বৈধ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলকসহ ১৪টি সুপারিশ করে কমিটি। পাশাপাশি একমুখী রাস্তায় কমপক্ষে তিন লেন দিয়ে একসাথে গাড়ি চলাচলের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

গত রোববার খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাস যাত্রাবাড়ি-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুরে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৯ জনের প্রাণহানি হয়। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ভর্তি হয় ঢাকা মেডিক্যালে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয় জেলা প্রশাসন। এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে প্রধান করে ৪ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো: মনিরুজ্জামান ফকির জানান, ঘটনার দিন শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার শিবচর থানায় ইমাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে একটি মামলা করেন। এখনো কেউ গ্রেফতার না হলেও মামলার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে, খুব শিগগিরই মামলাটি আলোর মুখ দেখবে। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় চালক ও হেলফার মারা যাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ঘটনার কারণ ও সুপারিশ করা ১৪টি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন দফতরের সহযোগিতায় দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সূত্র : বাসস