গোমূত্র পানের অযোগ্য; রয়েছে ১৪ রকম ব্যাকটেরিয়া

গোমূত্র পানের অযোগ্য; রয়েছে ১৪ রকম ব্যাকটেরিয়া

সংগৃহীত

গোমূত্র বহু রোগের মহা ওষুধ হিসেবে প্রচার করে থাকে ভারতের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এবার ওই মতবাদে জোর ধাক্কা দিলো দেশটিরই কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ভেটেনিয়ারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট। গবেষণা সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে, গোমূত্রে রয়েছে মারাত্মক কিছু ব্যাকটেরিয়া। তাই গোমূত্র মানুষের পক্ষে মারাত্মক।

কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা তার গবেষণায় গোমূত্রে ১৪ রকম মারাত্মক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া খুঁজে পেয়েছে। ওইসব ব্যাকটেরিয়ায় মধ্যে রয়েছে ইসচেরিচিয়া কোলাইয়ের মতো ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়াটি মানুষের পাকস্থলীতে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।

সংস্থায় তরফে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, 'গরু, মহিষের ৭৩টি ইউরিন স্যাম্পলে দেখা গেছে, মহিষের মূত্রে গরুর চেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে।' জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তা ভোজরাজ সিং।

গত বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোজরাজ ও তার তিন সহযোগী তিন প্রজাতির গরুর মূত্র নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি মানুষ ও মহিষের মূত্র নিয়েও গবেষণা চালানো হয়। দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবান মানুষের মূত্রেও বেশকিছু ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।

কোনো কোনো মহল থেকে বলা হয়ে থাকে যে ডিস্টিলড গোমূত্রে সাধারণ গোমূত্রের মতো কোনো ব্যাকটেরিয়া নেই। ভোজরাজ সিং জানিয়েছেন, এমন কথা একেবারেই বলা যায় না। তবে এনিয়ে গবেষণা চলছে।

অন্যদিকে, আইভিআরআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর আর এস চৌহান এরকম গবেষণার প্রবল বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, টানা ২৫ বছর গোমূত্র নিয়ে গবেষণা করছি। দেখেছি, ডিস্টিলড গোমূত্র মানুষের দেহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি এটি ক্যান্সার ও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও লড়তে সাহায্য করে।
সূত্র : জি নিউজ