সুদানে কার্যক্রম স্থগিত করলো ডব্লিউএফপি

সুদানে কার্যক্রম স্থগিত করলো ডব্লিউএফপি

সংগৃহীত

ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সংঘর্ষে উত্তাল সুদান। দেশটির রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫৬ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০০ জন।

নিহতের মধ্যে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তিনজন কর্মীও আছেন। এই নিয়ে ডব্লিউএফপি দেশটিতে সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। রোববার বিবিসির এক লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি বলছে, তাদের তিনজন কর্মী নিহতের খবরে তারা আতঙ্কিত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আমরা সুদানের সকল পক্ষকে দেশটির মানবিক কর্মীদের নিরপেক্ষতাকে সম্মান করতে আহ্বান জানাচ্ছি।

ডব্লিউএফপি সাময়িকভাবে তার কার্যকর্ম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। তারা দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চলমান সংঘর্ষ আমাদের কার্যক্রম এবং আমরা যে লোকেদের সেবা দেই তাদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

এদিকে সেনাবাহিনী এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস উভয়েই দাবি করছে, বিমান বন্দর এবং রাজধানী খার্তুমের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তাদের দখলে। সারারাত ধরে এসব জায়গায় লড়াই চলেছে।

খার্তুমের সংলগ্ন শহর ওমডারমান এবং কাছাকাছি আরেক শহর বাহরিতেও রোববার ভোরের প্রথম প্রহরে ভারী গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লোহিত সাগরের বন্দর নগরী পোর্ট সুদানেও গোলাগুলি চলছে। সুদানে ২০২১ সালের অক্টোবরে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর হতে দেশটি মূলত জেনারেলরাই চালাচ্ছে।

সুদানের ক্ষমতার কেন্দ্রে এখন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান, তিনিই কার্যত এখন দেশটির নেতা। তার প্রতি অনুগত সামরিক ইউনিটগুলোর সঙ্গে লড়াই চলছে আরএসএফের, যেটির নেতৃত্বে আছেন সুদানের উপ-নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি হেমেডটি নামেও পরিচিত।

হেমেডটি বলেছেন, তার সৈন্যরা সব সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। এর পাল্টা সুদানের সশস্ত্র বাহিনীগুলোও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ-কে ধ্বংস না করা পর্যন্ত কোন ধরণের আপোস-আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।