ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা, তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

ঈশ্বরদীতে   ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা, তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

ছবি : সংগৃহীত

পাবনায় বইছে লু হাওয়া। আগুনের ভোলকা যেন গায়ে বিদ্ধ হচ্ছে। প্রখর রোদ, তীব্র দাবদাহ ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে  গোটা পাবনাবাসী অতিষ্ঠ। রমজান এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যস্ততায় তাপদাহ  লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে ব্যপকভাবে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমুল হক জানিয়েছেন। দেশে আজ সম্ভবত ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে বলে তিনি জানান। এই তীব্র তাপদাহের মধ্যে কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই দেয়া হচ্ছে লোডশেডিং। এ কারণে প্রায় সব এলাকাই ১৪-১৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। যখন সব জায়গায় তাপদাহে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক তখনই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪-১৫ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। এতে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির হিস্যা গুনতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান মালিকদের। অন্যদিকে তীব্র তাপদাহে ক্রেতারা বড় বড় এসিযুক্ত শপিং মহলে চলে যাওয়ায় ক্রেতা সংকটে ভুগছেন ফুটপাতের হকার ও ছোট আকারের দোকানীরা। তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিং দেয়ায় বাসা-বাড়িসহ সর্বত্র অবস্থান নেয়া মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা বাস্তবের সঙ্গে কোনো মিল নেই।  জেলায় ২৯ লাখ মানুষ এখন বিদ্যুতের কাছে নাকাল হয়ে পড়েছে।বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লেও তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

জেলা শহরের বাসিন্দা আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোডশেডিংয়ের রোস্টার না মেনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা  লোডশেডিং জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, দুই ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা লোডশেডিং  দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে আধঘণ্টা এমনকি ১৫/২০ মিনিট পরও লোডশেডিং হচ্ছে। এই অবস্থায় তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ সমস্ত প্রাণিকূল। অপরদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা।

জেলা শহরের রনিগর এলাকার বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, এখন পবিত্র মাহে রমজান চলছে, তার ওপর তীব্র গরম। এই রমজানে গরমের মধ্যে এত বেশি লোডশেডিং মেনে নিতে পারছিনা।জেলা শহরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছু নির্ভর করে বিদ্যুতের ওপর। কিন্তু অতি মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।