দেশব্যাপী ১৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং

দেশব্যাপী ১৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং

ফাইল ছবি

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের ব্যবধান বাড়ছে। ফলে সোমবার সারাদেশে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অফিসিয়াল তথ্যানুসারে, রোববার দেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রকৃত বিদ্যুত ঘাটতি ছিল প্রায় এক হাজার ৪০১ মেগাওয়াট।

এদিন সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৫৯৯ মেগাওয়াট।

বিপিডিবি আরো জানায়, দেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১৫ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া লোডশেডিংয়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টায় মোট ৮৪০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হবে।

তবে বিপিডিবির অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা মনে করেন, বিভিন্ন কারণে আজকের পূর্বাভাস অনুযায়ী অপারেটিং প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।

তারা বলেন, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্র বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এছাড়া বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু প্ল্যান্টের মেশিন উচ্চ তাপমাত্রা এবং ট্রিপ সহ্য করতে পারে না।

বিপিডিবি পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে মোট এক হাজার ২৯১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হবে, যার মধ্যে খুলনা অঞ্চলে ৩৫০ মেগাওয়াট সর্বোচ্চ লোডশেডিং হবে। তারপরে ময়মনসিংহে ২৪৯ মেগাওয়াট, কুমিল্লা ২৪০ মেগাওয়াট, রাজশাহী ২১০ মেগাওয়াট, রংপুরে ১৩২ মেগাওয়াট, সিলেটে ১০০ মেগাওয়াট এবং ঢাকায় লোডশেডিং হবে। তবে চট্টগ্রাম ও বরিশালে কোনো লোডশেডিং থাকবে না।

এতে আরো জানা যায়, বিআইএফপিসিএলের কয়লাচালিত রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল প্ল্যান্ট দুই দিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে আর চালু করা যায়নি। ফলে প্ল্যান্ট থেকে ৬১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে না জাতীয় গ্রিড।

অন্যদিকে বিপিডিবির আরেক কর্মকর্তা জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রিডের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে, যার ফলে বিদ্যুত ঘাটতি বাড়ছে।
সূত্র : ইউএনবি