কিয়েভের আকাশে রহস্যময় তীব্র আলোর ঝলকানি

কিয়েভের আকাশে রহস্যময় তীব্র আলোর ঝলকানি

কিয়েভের আকাশে রহস্যময় তীব্র আলোর ঝলকানি

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বুধবার রাত দশটার দিকে এক চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানিতে পুরো আকাশ উজ্জ্বল হয়ে পড়েছিল।প্রাথমিক আতঙ্ক কাটার পর রহস্যময় তীব্র এই ঝলকানির সূত্র নিয়েনানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। দু-তিনটি সম্ভাব্য কারণের কথাও জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ ব্যাখ্যা এসেছে ইউক্রেনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে। তারা বলছে এই আলোর সূত্র সম্ভবত কোনো উল্কাপিণ্ড। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় সেটি থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে। তবে তারা এখনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।নগরের বাসিন্দারা প্রথমে ধরেই নিয়েছিল যে কিয়েভে আরেকটি রুশ বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।বিমান সতর্কীকরণ সাইরেনও বেজে ওঠে, কিন্তু ইউক্রেনের বিমান বাহিনী রুশ হামলার সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়।

পরে ইউক্রেনের সরকারি কর্তৃপক্ষ ধারণা করে যে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বাতিল করা একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং আলোর ঝলকানির সূত্রপাত সেখান থেকেই।কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পোপকো সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে বলেন নাসার একটি কৃত্রিম উপগ্রহ হয়তো ভূপৃষ্ঠের দিকে নিমে আসছে। তিনি বলেন নাসা থেকে আগেই জানানো হয়েছিল ৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের অকেজো একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বুধবার রাতে বায়ুমণ্ডলে ঢুকতে করতে পারে।

কিন্তু নাসার একজন মুখপাত্র রব মারগেটা বিবিসিকে জানান যখন কিয়েভের আকাশে ঐ আলোর ঝলকানি দেখা যায় সেসময় তাদের ঐ উপগ্রহটি কক্ষপথেই ছিল।স্যাটপ্লেয়ার নামে যে ওয়েবসাইটটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহগুলোর ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখে তারা জানায় বুধবার রাত দশটার সময় মার্কিন ঐ উপগ্রহটি ইউক্রেনের ধারে-পাশে ছিলনা।

রাতের আলোর ঝলকানির সূত্র সম্ভবত কোনো উল্কাপিণ্ড। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় সেটি থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে।নাসা ২০০২ সালে রেসসি নামে কৃত্রিম এই গবেষণা উপগ্রহটি পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে সেটি অকেজো করে দেওয়া হয়।ইউক্রেনের সামাজিক মাধ্যমগুলোতে রহস্যময় এই আলোর ঝলকানি নিয়ে নানা জল্পনা, গুজব চলছে। অনেকে বলছে ভিন গ্রহের বাসিন্দাদের কাজ ছিল এটি।

তবে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন প্রতিবেশী বেলারুশের উত্তরাঞ্চলেও এই ঝলকানি দেখা গেছে।কিয়েভের কর্তৃপক্ষ বলছেন নগরের নিরাপত্তা তাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং বুধবার রাতের ঐ রহস্যের জট খোলার দায়িত্ব বিশেষজ্ঞদের।

সূত্র : বিবিসি