ব্যবধান কমাল রিয়াল মাদ্রিদ

ব্যবধান কমাল রিয়াল মাদ্রিদ

সংগৃহীত

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের ভাগ্য এখন বার্সেলোনার ওপর নির্ভরশীল। শুধু নিজেরা জিতলেই হবে না, হারতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সালোনাকেও। এক ম্যাচ কম খেলেই আট পয়েন্টে এগিয়ে আছে কাতালান ক্লাবটি। ফলে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর পথ নেই লস ব্লাঙ্কোসজের। সেই লক্ষ্যেই শনিবার সেল্‌তা ভিগোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।

নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা একাদশ থেকে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তাতে পরিবর্তন আসেনি ছন্দে, দাপুটে ফুটবল খেলেই জয় তুলে নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোজরা। গো করেছেন মার্কো আসেনসিও ও মিলিতাও। গোল না পেলেও ম্যাচে দারুণ খেলেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।

শুরু থেকে আক্রমণে আধিপত্য ধরে রাখলেও গোল পাচ্ছিল না রিয়াল। প্রথম ৪০ মিনিটে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। ২১তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে উড়িয়ে মারেন করিম বেনজেমা, ৩২তম মিনিটে আরো একটা সুযোগ মিস করেন তিনি। মাঝে ২৭তম মিনিটে নাচো ফের্নান্দেসের শট বাইরে দিয়ে যায়।

অবশেষে একাদশ শটে ৪২তম মিনিটে মেলে প্রথম সাফল্য। গোল করেন আসেনসিও। দানি সেবায়োসের দারুণ এক থ্রো-বল ধরে ভিনিসিয়ুস বল সাজিয়ে এগিয়ে দিলে ছুটে এসে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন আসেনসিও। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল মাদ্রিদ। এই গোলেও অবদান রাখেন আসেনসিও। তার করা কর্নার থেকে ডি-বক্সে অনেকটা লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন মিলিতাও। আরো গোল আদায় করতে পারত আনচেলেত্তির দল, তবে ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে তা আর হয়নি।

বিপরীতে ৫৬তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পান ইয়াগো আসপাস। কিন্তু বল উড়িয়ে মেরে সমর্থকদের হতাশ করেন তিনি। ৭৭তম মিনিটে দুটো দারুণ সেভে রিয়াল মাদ্রিদকে রক্ষা করেন থিবো কোর্তোয়া। এদিকে আর কোনো গোল না আসার ফলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।

এই জয়ে ৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।