কাশ্মিরে জি-২০ বৈঠক শুরু

কাশ্মিরে জি-২০ বৈঠক শুরু

ছবি: আনাদুলু এজেন্সি

চীন ও পাকিস্তানের আপত্তির পরও ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরে শুরু হয়েছে জি-২০ বৈঠক। গ্রুপটির পর্যটন বিষয়ক কমিটির প্রতিনিধিরা সোমবার বৈঠক শুরু করেছেন। এটি আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে। চীন ও পাকিস্তান এটিকে বিতর্কিত অঞ্চল উল্লেখ করে এই বৈঠকে আপত্তি জানিয়েছিল।

২০১৯ সালে স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিলের পর এটিকে কাশ্মিরে আয়োজিত সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে বুধবার।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে তার দেশ বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ডে যেকোনও ধরনের জি-২০ বৈঠক আয়োজনের দৃঢ় বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, 'আমরা এই ধরনের সভায় যোগ দেব না।'

জম্মু কাশ্মিরের একটি ছোট অংশ চীনের দখলে রয়েছে। বাকি অংশ রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। উভয় দেশই কাশ্মিরের পূর্ণ এলাকার মালিকানা দাবি করে।

এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'জম্মু ও কাশ্মিরে অবৈধ দখল টিকিয়ে রাখতে এটি ভারতের দায়িত্বজ্ঞানহীন সর্বশেষ পদক্ষেপ।'

তবে ভারত পাকিস্তানের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানায়, জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সর্বদা থাকবে।

বৈঠকটিতে ২৫টি দেশের ১৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জি নিউজ। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৈঠকে চীনের পাশাপাশি তুরস্ক ও সৌদি আরব অংশ নিচ্ছে না।

কাশ্মিরে জি২০ বৈঠক আয়োজনের তীব্র সমালোচনা করেছেন সংখ্যালঘু ইস্যুতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফার্নান্ড ডি ভারেনেস। তিনি কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেছেন।

তার জেনেভায় ভারতের কূটনৈতিক মিশন ভেরেনের বক্তব্যকে 'ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতীয় মিশন বলেছে, ' জি২০ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশের যেকোনো অংশে সভা আয়োজন করা ভারতের অধিকার। আমরা বিস্মিত যে ফার্নান্ড ডি ভারেনেস এই ইস্যুটিকে রাজনীতিকরণ করার জন্য দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কাজ করেছেন।'

বৈঠক উপলক্ষে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শ্রীনগরকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। এছাড়া ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।

গ্রুপ অব টোয়েনটি ফিন্যানস মিনিস্টারস অ্যান্ড সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নরস (জি২০) হলো বিশ্বের ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট বা গ্রুপ। এই গ্রুপের ২০ সদস্য হলো- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্পেন এই জোটের স্থায়ী আমন্ত্রিত অতিথি।

সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি ও জি নিউজ