একনেকে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন সাত হাজার ৪৪৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন তিন হাজার ৮৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন করে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা সচিবসহ পরিকল্পনা কমিশনের বিভিন্ন সদস্যরা (সচিব) উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা মূল্যস্ফীতি দাবিয়ে রাখতে সব চেষ্টা করব।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফরিদপুর জেলাধীন মধুমতি নদীর বাম তীরের ভাঙন হতে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর সংযোগ রাস্তাসহ অন্যান্য এলাকা সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, নেত্রকোণা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধন) প্রকল্প এবং নড়াইল জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন প্রকল্প।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ (৫ম সংশোধন) প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ১০টি মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ প্রকল্প এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন পটুয়াখালী (১ম সংশোধন) প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে জাহাজীরগনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং স্থাপন এবং হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (HEAT) প্রকল্প; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা (৩য় সংশোধন) প্রকল্প।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন’ (২য় সংশোধন) প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি রিংক রোড নির্মাণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (চতুর্থ সংশোধন) প্রকল্প: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন এবং ডিজিএফজাই এর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন (টিআইএইচডিটিসিবি) (২য় সংশোধন) প্রকল্প: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে জুয়েল- গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (২য় সংশোধন) প্রকল্প। এছাড়াও ব্যয় ব্যতিরেকে একটি প্রকল্প টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি'র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।