রাজশাহী-সিলেটে বিএনপির বহিষ্কৃত ১৫ জন নির্বাচিত

রাজশাহী-সিলেটে বিএনপির বহিষ্কৃত ১৫ জন নির্বাচিত

ফাইল ছবি

রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অনেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন কাউন্সিল পদে। এ জন্য দল থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৫জন কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। 

এর মধ্যে রাজশাহীতে আটজন এবং সিলেটে সাতজন নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেটে সাতজনের মধ্যে চারজন পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য তিনজন নতুন মুখ।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ চৌধুরী শামীম। তিনি মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম মুনিম। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।

১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সদস্য। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবির সুহিন। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক নেতা।

সিসিকের সম্প্রসারিত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সভাপতি। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলওয়ার হোসেন নাদিম। তিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

রিটার্নিং অফিসার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুসারে সিলেট সিটির ৪২ ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

কয়েকজন নির্বাচিত হয়েছেন টানা পঞ্চমবারের মতো। বাকি ২২টি ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নতুনরা। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাতজন ছাড়াও যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্রম কর সম্রাট, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ লায়েক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রেজওয়ান আহমদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মখলিছুর রহমান কামরান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তারেক উদ্দিন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রকিব বাবুল, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সিকন্দর আলী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শান্তনু দত্ত সন্তু, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়ফুল আমিন বাকের, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মুহিত জাবেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাশেদ আহমদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আব্দুর রকিব তুহিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী (মাসুম), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোস্তাক আহমদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাকবির ইসলাম পিন্টু, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. তৌফিক বক্স লিপন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল জলিল নজরুল, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে রায়হান হোসেন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাজহারুল ইসলাম শাকিল, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রকিব খান, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নজমুল হোসেন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে রুহেল আহমদ, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়নাল আবেদীন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে হিরন মাহমুদ নিপু, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রিয়াজ মিয়া, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হেলাল উদ্দিন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে লিটন আহমদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ফখরুল আলম এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে মতিউর রহমান।

রাজশাহী : রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ডে বেসরকারি ফলাফলে ২১টিতে আওয়ামী লীগ, আটটিতে বিএনপিপন্থী এবং একটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে এবার নতুন মুখ তিনজন।

আওয়ামী লীগের যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে রজব আলী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কামাল হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ আশরাফুল ইসলাম বাবু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান কামরু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুজ্জামান টুকু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ জানে আলম খান জনি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাসেল জামান, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শরিফুল বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন আনার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলহাজ শাহাদত আলী সাহু, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তহিদুল হক সুমন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ মো. রবিউল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নিজাম উল আযীম, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হামিদ সরকার, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাহতাব হোসেন চৌধুরী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আরমান আলী, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান মনি, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহের হোসেন সুজা এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আলাউদ্দিন।

বিএনপিপন্থী যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্বাস আলী সরদার, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আবু বক্কর কিনু, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল সোবহান লিটন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেল্লাল আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলি আল মাহমুদ লুকেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আখতারুজ্জামান কোয়েল এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আশরাফুল হোসেন বাচ্চু।

এ ছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্কার্স পাটির মতিউর রহমান মতি নির্বাচিত হয়েছেন।