আপিল বিভাগের আদেশ বাফুফের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির তদন্ত চলবে

আপিল বিভাগের আদেশ বাফুফের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির তদন্ত চলবে

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সংস্থাটির সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ এই অভিযোগে অভিযুক্ত।

বাফুফের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

তবে ফিফার দেয়া অর্থের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত। এছাড়া সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। একই সঙ্গে এই আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ১৫ মে কাজী সালাউদ্দিন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চার মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বাফুফের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

একইসঙ্গে কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানি করেন।

পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফিফা থেকে বাফুফেকে যে অনুদান দেয়া হয়েছিল সেই টাকাসহ সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া সব টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, সব বিষয়ে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত ১৪ মে কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে দুদকের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাফুফেসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।