নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ, করণীয়

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ, করণীয়

প্রতীকী ছবি।

হাইপোটেনশন, নিম্ন রক্তচাপ নামেও পরিচিত। হাইপোটেনশন এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে ধমনির দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের শক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ৯০-৬০ মিলিমিটার অব মার্কারির নিচে থাকা একটি রিডিং সাধারণত কম বলে মনে করা হয়।

যেসব কারণে হাইপোটেনশন হতে পারে

ডিহাইড্রেশন : শরীরে অপর্যাপ্ত তরলের মাত্রা নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

ওষুধ : কিছু ওষুধ যেমন—উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অবস্থা বা বিষণ্নতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তচাপ কমাতে পারে।

রক্তক্ষরণ : অতিরিক্ত রক্তপাত, আঘাত, অস্ত্রোপচার বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ফলে হাইপোটেনশন হতে পারে।

হার্টের সমস্যা : দুর্বল হৃৎপিণ্ডের পেশি, ধীর হৃত্স্পন্দন, বা হার্টের ভালভের সমস্যা নিম্ন রক্তচাপের জন্য অবদান রাখতে পারে।

এন্ডোক্রাইন ডিস-অর্ডার : থাইরয়েড সমস্যা, অ্যাড্রিনাল অপ্রতুলতা বা ডায়াবেটিসের মতো অবস্থা হাইপোটেনশন ঘটাতে পারে।

সংক্রমণ : গুরুতর সংক্রমণ যেমন—সেপ্টিসেমিয়ায় রক্তচাপ কমে যেতে পারে।

পুষ্টির ঘাটতি : প্রয়োজনীয় পুষ্টির অপর্যাপ্ত ভোজন, বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ এবং ফোলেট, একটি প্রভাব বিস্তারকারী কারণ হতে পারে।

হাইপোটেনশনের লক্ষণ

* মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা

* অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা প্রায় অজ্ঞান হওয়া

* ঝাপসা দৃষ্টি

* ক্লান্তি

* বমি বমি ভাব

* মনোযোগের অভাব

* ঠাণ্ডা, আঁটসাঁট ত্বক

* দ্রুত বা অগভীর শ্বাস নেওয়া

হাইপোটেনশনের লক্ষণ থাকলে করণীয়

তরল পান করুন : ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীরে ঘাটতি দেখা দিলে তা পূরণের জন্য পানি বা অন্যান্য তরল পান করুন।

অল্প পরিমাণে ঘন ঘন খাবার খান : এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আকস্মিক নড়াচড়া এড়িয়ে চলুন : মাথা ঘোরা রোধ করতে বসা বা শুয়ে থাকা অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান।

অন্তর্নিহিত কারণ জানতে হবে : যদি এটি অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে হয়, তবে সেই অবস্থার সঠিক চিকিৎসা করে লক্ষণগুলো উপশম করতে হবে।

স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন : সবুজ শাকসবজি, ফল, পুষ্টিকর গ্রেইন ও প্রোটিনের উৎস যেমন মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, ডাল ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

যা জানা জরুরি

ক্রমাগত বা গুরুতর উপসর্গের ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের সঙ্গে সাময়িক পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। হাইপারটেনশন বা হাইপোটেনশনের রোগী যাঁরা ওষুধ খান, তাঁদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং ওষুধের মাত্রা সমন্ব্বয় করা খুবই জরুরি।

ওষুধের মাত্রা সমন্ব্বয় করা অন্যতম কারণ হলেও নিজে কখনোই ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করবেন না বা ওষুধ বন্ধ করবেন না।

 

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মুহিত মুকতাদির
অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর
এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডিপার্টমেন্ট,
দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।