পাবনায় চাঞ্চল্যকর কালাম হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পাবনায় চাঞ্চল্যকর কালাম হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পাবনায় চাঞ্চল্যকর কালাম হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পাবনার আতাইকুলায় চা ল্যকর আবুল কালাম হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন পাবনা জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম আহমেদ। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

রোববার(০৯ জুলাই) বিকেলে তিনি জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় দেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোয়াজ্জেল নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামের মোতাহার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, আলাই, আক্কাছ আলী ফকির, শাহিন, রমজান আলী প্রামাণিক, সাইফুল ইসলাম ও আতাউর রহমান। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামী কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ডের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।  

আদালত সূত্র জানায়, পাবনার আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামের সুরুজ আলীর পিতা আবুল কালাম তার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে অলিখিত চুক্তিবদ্ধ হন। এ জন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা দাবি করে। আবুল কালাম ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেন বাকী ৬০ হাজার টাকা জমি উদ্ধারের পর দেয়া হবে বলে জানান। এতে দণ্ডপ্রাপ্তরা ক্ষুব্ধ হন। কালামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৬ সালের ২৪ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দন্ডপ্রাপ্তরা আবুল কালামকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্রীকোল পশ্চিমপাড়ায় কৌশলে ডেকে নিয়ে আসে এবং এক কোপে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে এ ব্যাপারে আবুল কালামের ছেলে সুরুজ আলী বাদি হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাক্ষী প্রমাণ শেষে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম আহমেদ আট জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একজনকে খালাস প্রদান করেন ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন ও আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী খান।