ঢাকা উত্তর সিটিতে মশা মারতে ১১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

ঢাকা উত্তর সিটিতে মশা মারতে ১১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

ঢাকা উত্তর সিটিতে মশা মারতে ১১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন  (ডিএনসিসি) এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কিনতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় করা হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গুলশানে নগর ভবনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, একটি টেকসই ও নিরাপদ শহর বিনির্মাণে আমরা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। মশক নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মশা নিধনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করে প্রচারাভিযান, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসার ১ হাজার ইমাম ও খতিবের সঙ্গে এবং স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ছাদ বাগানে এডিসের লার্ভা শনাক্তে ড্রোনের ব্যবহার।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে সচেতন করতে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ১০ জন ডেডিকেটেড পিআর নিযুক্ত করা হয়েছে। মশক নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজাতি ও মশার আচরণ নির্ণয় করে সঠিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে গবেষণার জন্য চুক্তি করা হয়েছে। এ বছরের বাজেটেও মশা নিধনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি বছর তথা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছি। অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে বরাদ্দের হার ৬১ শতাংশ বেশি। এছাড়া, গত অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি অর্থবছরে যন্ত্রপাতি কিনতে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা আগের চেয়ে ১০০ শতাংশ বেশি।