মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিরোধীরা

মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিরোধীরা

সংগৃহীত

মণিপুর ইস্যুতে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছে ভারতের বিরোধী দলগুলোর জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইনডিয়া)। এরই মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবের খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রস্তাব লোকসভায় পাঠানো হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরে দুই নারীকে ধর্ষণের পর নগ্ন করে ঘোরানোর পর লোকসভায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল তৈরি হয়। একপর্যায়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের কাছে এক চিঠিতে অচলাবস্থা কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অমিত শাহের চিঠির পরপরই বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সামনে এল। চিঠির পর এক টুইটে অমিত শাহ বলেন, সরকার মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত এবং দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সব পক্ষের সহযোগিতা চায়। আমি আশা করি, এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে সকল পক্ষ সহযোগিতা করবে।

এদিকে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিরোধীদের বিক্ষোভের কারণে উভয় কক্ষে আইন প্রণয়নের কাজ বন্ধ রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সবকিছুর আগে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লোকসভায় বক্তব্য দিতে হবে। তবে সরকার বিরোধীদের দাবি নাকচ করে নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২৬ দলের 'ইন্ডিয়া' জোট। যেখানে রয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, ডিএমকে, জেডিইউ, জেএমএম, এনসিপি, আরজেডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপির মতো দলগুলো।

জোট গঠনের পর আশাবাদ ব্যক্ত করে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এক টুইটে বলেন, ভারত আবারও ঐক্যবদ্ধ হবে, ভারত আবারও জিতবে।

আগামী বছরের এপ্রিল এবং মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই ভারতে চলছে জোট গঠনের খেলা। পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ-ও। জোটটি এদিন দিল্লিতে বৈঠক করে। তবে বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ইন্ডিয়া—আইএনডিআইএ’ বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।