মেসির মায়ামি বেছে নেয়ার কারণ জানালেন বার্সা সভাপতি

মেসির মায়ামি বেছে নেয়ার কারণ জানালেন বার্সা সভাপতি

লিওনেল মেসি

বার্সেলোনায় দুই দশকের অবিশ্বাস্য অধ্যায় ছিল লিওনেল মেসির। ছিল চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ১১টি লা লিগাসহ অনেক ট্রফি আর অসংখ্য অর্জন। ক্লাবের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নামা, সবচেয়ে বেশি গোলসহ অসংখ্য ব্যক্তিগত ও দলীয় রেকর্ড-অর্জনে রাঙিয়েছেন নিজেকে। তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ওই বার্সাকে না বলেই মেসি তার নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন ইন্টার মায়ামির হয়ে।

মেসির মায়ামি যাওয়া নিয়ে আগে থেকেই বেশ ইতস্ততা ছিল বার্সালোনা সভাপতির। এবার আরো একবার প্রকাশ পেল তা। যদিও মেসির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। স্পষ্টই বললেন, মায়ামির জার্সিতে মেসিকে মানাচ্ছে না।

একই সাথে আরো একবার বললেন, ‘চাপ কমাতেই মেসি বার্সালোনা ছেড়ে মায়ামিকে বেছে নিয়েছেন।’

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ইএসপিএনের সাথে এই প্রসঙ্গে বেশ খোলামেলা কথা বলেন। যেখানে মেসি কেন বার্সায় না ফিরে মায়ামিতে গেল- এর কারণও বর্ণনা করেন তিনি।

হুয়ান লাপোর্তা বলেন, ‘এটা অনেকটা অদ্ভুত অনুভূতি মায়ামির জার্সিতে মেসিকে দেখা। মেসিকে আমরা বার্সেলোনার হয়েই চিনি। সমর্থকরাও তাকে সেভাবেই চেনে।’

মেসিকে ফেরাতে যে বার্সালোনা বেশ চেষ্টা করেছে, তা দাবি করে তিনি বলেন, ‘খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম আমরা। ক্লাবের ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে পরিস্থিতি সামলাতে একটু সময় প্রয়োজন ছিল আমাদের। শেষ পর্যন্ত লা লিগার সাথে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতেও সক্ষম হয়েছিলাম, যেটায় তাকে আমরা স্কোয়াডে যোগ করতে পারি।’

ওই সময় মেসির মায়ামি বেছে নেয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্যারিসে চাপে থাকাকেই উল্লেখ করেন লাপোর্তা। বলেন, ‘প্যারিসে লিওকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে। তার বাবা আমাকে বলেছেন যে এমন একটি জায়গায় মেসি এখন যেতে চায় যেখানে চাপ থাকবে না। কিন্তু বার্সায় তা সম্ভব নয়, কারণ এখানে ফিরলে তাকে নায়ক হয়েই ফিরতে হবে।’

তবে মেসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তার ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনাও প্রকাশ করেন লাপোর্তা। বলেন, ‘এছাড়া বুসকেতস ও আলবা আছে, সুয়ারেসও যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থকদের জন্য যা খুব আকর্ষণীয়। এজন্যই মেসি মায়ামিকে বেছে নিয়েছে। আমরা তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি ও অনুধাবন করতে পারি। মেসি মায়ামি ও তাদের লিগকে সহায়তা করবে আরো এগিয়ে যেতে।’