তাসকিনদের বিদায় করে সেরা চারে মুশফিকের জোহানসবার্গ

তাসকিনদের বিদায় করে সেরা চারে মুশফিকের জোহানসবার্গ

সংগৃহীত

নিজের পক্ষে যা করার, তার সবটাই করেছেন তাসকিন আহমেদ। তবে নিজের সবটা বিলিয়ে দিয়েও দলকে নিতে পারলেন না শেষ চারে, রাখতে পারলেন না শিরোপার লড়াইয়ে। ফলে গ্রুপ পর্ব শেষেই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বুলাওয়ে ব্রেভসের। বুলাওয়ের বিদায়ে সহজ সমীকরণ ভেঙে শেষ চার নিশ্চিত করেছে মুশফিকের দল জোহেনবার্গস।

কী করেননি তাসকিন দলের জন্যে? ৭ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট তার দখলে। মারকাটারি ১০ ওভারের এই আসরেও ইকোনমি সাতের ঘরে৷ কম হতে পারতো আরো, যদি না ফিল্ডিংয়ে তার দল সেরাটা দিতো! আরো একটা কীর্তি সঙ্গী করেছেন তাসকিন, মাত্র ১৪ ওভার বল করেই ছুঁয়েছেন ডট বলের ফিফটি। অর্থাৎ ৮৪টি বল করে ৫০টি ডট দিয়েছেন তাসকিন!

তবে অনেক সময়ের মতো আবারো তার পারফরম্যান্স ঢাকা পড়লো দলের কাছে, দলের ব্যর্থতায় ম্লান হলেন তিনি। প্রথম ৭ ম্যাচে মাত্র ৩ জয় থাকায় শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না বুলাওয়ের। বল হাতে জয়ের ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন তাসকিন। ডারবানের বিপক্ষে শুরুতেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে দলকে এনে দেন স্বস্তি।

মাত্র ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ওভারেই ০ রানে ফেরান টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক টিম সেইফার্টকে। তার পরের দুই শিকার হজরতুল্লাজ জাজাই আর আন্দ্রে ফ্লেচার; দুজনের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন তিনি৷ অতিরিক্ত খাত থেলে ৮ রান না আসলে, তার বোলিং ফিগারটা আরো সুন্দর দেখাতো!

যাহোক, তবুও ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলে ফেলে ডারবান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান তুলতে পারে বুলাওয়ে। হেরে যায় ৭ রানে। আর তাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় বিদায়৷ তবে তলানিতে থাকা আরেক দল মুশফিকের জোহানসবার্গ শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলে একটা সুযোগ থাকতো বুলাওয়ের। তবে বড় ব্যবধানে জিতে সেই সুযোগ উড়িয়ে দেয় মুশফিকের দল।

শেষ ম্যাচে জোহানবার্গ মুখোমুখি হয় হারারের। তবে মোহাম্মদ হাফিজ আর নূর আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে হারারে ৮১ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্কোরবোর্ডে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হাফিজের উইকেট হারালেও উইল স্মিড ও টম বেন্টন মিলে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ২২ বল আর ৯ উইকেট বাকি থাকতেই জিতে যায় জোহানসবার্গ। সেই সাথে নিশ্চিত করে সেরা চার।