অস্ত্র ও মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ অক্টোবর

অস্ত্র ও মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ অক্টোবর

অস্ত্র ও মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ অক্টোবর

অস্ত্র ও মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।রাজধানীর রমনা থানার অস্ত্র ও মাদকের পৃথক মামলায় ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আজ অদালতে হাজিরা দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে চার্জ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন। 

সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদি হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা তার সহযোগি এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিন বার, দুবাইয়ে দুই বার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেন । 

২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর স¤্রাটের নাম বেরিয়ে আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয় । অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মেলেনি সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তার সহযোগি আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

ওইদিন দুপুর ২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা করা হয়। বর্তমানে সম্রাট জামিনে আছেন।

সূত্র : বাসস