সাবিনা-তাসকিনসহ ১০ জন পেলেন শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার

সাবিনা-তাসকিনসহ ১০ জন পেলেন শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার

সংগৃহীত

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারকে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি বলা হয়। এর পরের স্তরেই রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। বেশ কয়েক বছর যাবত এই পুরস্কার দেওয়া স্থগিত ছিল। তবে গত দুই বছর আগে শেখ কামালের নামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পুনরায় চালু হয়।

শনিবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ ক্রীড়াবিদ ও দুই প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার সম্মাননা দেওয়া হলো।

এবারে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন বর্ষীয়ান খেলোয়াড় ও সংগঠক আবদুস সাদেক। ক্রীড়া সংগঠক কোটায় হকি অঙ্গনে ওস্তাদ ফজলু নামে কোচ ফজলুর রহমান এবং নারী ফুটবলার তৈরির কারিগর, সংগঠক ও কোচ মালা রানী সরকার পেয়েছেন এই পুরস্কার।

খেলোয়াড় কোটায় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, সাফজয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয় এ বছরের পুরস্কার। এ ছাড়া উদীয়মান খেলোয়াড় কোটায় টেবিল টেনিসের হৃদয় ও আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন এই পুরস্কার।

এবারের শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের নতুন সংযোজন ধারাভাষ্যকার। টাইগার সাবেক ক্রিকেটার ও আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানের হাতে উঠেছে এই পুরস্কার পাচ্ছেন। ক্রীড়া সাংবাদিক কোটায় পেয়েছেন ফটোগ্রাফার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার তারেক নুরুল্লাহ।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে আলোচিত খেলা আরচারি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খেলাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জায়গা করে নেওয়ায় বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন পেয়েছে সেরা সংগঠনের স্বীকৃতি। এ ছাড়া খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনও স্বীকৃতি পেয়েছে।

একনজরে পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা

আজীবন সম্মাননা: আব্দুস সাদেক

খেলোয়াড়: তাসকিন আহমেদ (ক্রিকেট), সাবিনা খাতুন (ফুটবল) ও জিয়াউল (ভারোত্তোলন)

উদীয়মান: হৃদয় ও আরিফুল ইসলাম (টেবিল টেনিস)

সংগঠক: ওস্তাদ ফজলু (হকি) ও মালা রাণী (কলসিন্দুর)

পৃষ্ঠপোষক: বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন

সংগঠন: বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন

ধারাভাষ্যকার: আতহার আলী খান (ক্রিকেট)

সাংবাদিক: খন্দকার তারেক (ফটোসাংবাদিক)