অধিনায়ক ইস্যুতে জরুরি মিটিং ডেকেছে বিসিবি

অধিনায়ক ইস্যুতে জরুরি মিটিং ডেকেছে বিসিবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। একই সাথে পিঠের চোটের কারণে দেশসেরা এই ওপেনার খেলতে পারবেন না এশিয়া কাপেও। তবে তামিমের হুট করে টাইগার দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় বিপাকে পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে জরুরি বোর্ড মিটিং ডেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর দুইটায় 'হোম অব ক্রিকেট' মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় আসন্ন বিশ্বকাপে অধিনায়কের নাম চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। এই তালিকায় 'টাইগার পোষ্টারবয়' সাকিব আল হাসানের নামই শোনা যাচ্ছে বেশি। এছাড়া লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের নামও রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়।

 

গত মাসে আফগানিস্তান সিরিজের মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে ২৮ ঘণ্টা পরেই নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ড্যাশিং এই ওপেনার। পরে দীর্ঘদিনের পিঠের চোটের উন্নত চিকিৎসা করে ৩১ জুলাই লন্ডনে থেকে দেশে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

গত ৩ আগস্ট বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকও করেন তামিম। বৈঠক শেষে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। তামিমের এমন ঘোষণার পর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো আসরকে সামনে রেখে নতুন অধিনায়ক বেছে নিতেই হচ্ছে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে আলোচনায় থাকা সাকিবের আগেও অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৪৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এরপর নানা সময় মাশরাফির অবর্তমানে আরও তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সাকিব ছাড়া অধিনায়ক হিসেবে আরও কয়েকজনের নাম আলোচনাতে আছে। তামিমের অবর্তমানে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। তার নেতৃত্বে ওই সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডেতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।

একই সাথে বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। যদিও এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো আসরের আগে বিসিবি অভিজ্ঞ কারও হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। ফলে সাকিবের হাতেই দায়িত্বভার ওঠার কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।