গ্রামীণফোন দাড়ালো বন্যাদুর্গত ১০ হাজার পরিবারের পাশে

গ্রামীণফোন দাড়ালো বন্যাদুর্গত ১০ হাজার পরিবারের পাশে

ছবিঃ সংগৃহীত।

সপ্তাহব্যাপী টানা ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে, যা জনজীবনে সৃষ্টি করেছে দুর্ভোগ। বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও ফেনীতে অসংখ্য মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্তি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অবস্থান থেকে বন্যাকবলিত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি দুর্যোগ মোকাবেলা প্রকল্পের আওতায় ত্রাণ সুবিধা নিয়ে দুর্গত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে।

গ্রামীণফোন জানায়, তারা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগের বন্যাকবলিত অঞ্চলে ১০ হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবে। পাশাপাশি, পানযোগ্য নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পাঁচটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনেও সহায়তা করবে।

এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হোসেন সাদাত বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগে বিভিন্ন অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অগণিত মানুষ। প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মানুষ নিরাপদ খাবার ও সুপেয় পানির সঙ্কটে রয়েছেন।

বন্যাকবলিত অঞ্চলসমূহে নেটওয়ার্ক সুবিধা সচল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ সেবা নিশ্চিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। সেই সঙ্গে, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা দুর্গত পরিবারগুলোর হাতে খাদ্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল কাজী শফিকুল আজম বলেন, ‘বন্যার ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ এক অনাকাঙ্ক্ষিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।

জনজীবন বিপর্যস্ত। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে। আবারও আমরা গ্রামীণফোনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যমে এ পরিস্থিতিতে প্রান্তিক মানুষ ও কমিউনিটির পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলায় ১৫ হাজার পরিবারের কাছে খাদ্য ত্রাণ সুবিধা পৌঁছে দেয় গ্রামীণফোন। এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবায় চারটি মেডিক্যাল ক্যাম্পও স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।