বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়া সুন্নত

বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়া সুন্নত

সংগৃহীত

বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত। মানুষ ও জীব-জন্তুর রিজিকের প্রধান মাধ্যম বৃষ্টির পানি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, যাতে তা দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ ও পাতাঘন উদ্যান।’ (সুরা নাবা: ১৪-১৬) ‘যাতে তা দ্বারা আমি মৃত ভূ-খণ্ডকে সঞ্জীবিত করি এবং আমি যা সৃষ্টি করেছি। তার মধ্য হতে বহু জীবজন্তু ও মানুষকে তা পান করাই।’ (সুরা ফুরকান: ৪৯)

তবে কখনও বৃষ্টি আজাবেরও হতে পারে। এ কারণে রাসুল (স.) বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহর দরবারে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। সেই দোয়াটি সুন্নত হিসেবে আমরাও করতে পারি। দোয়াটি হলো— اللَهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান নাফিয়া’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী করে দিন।’ আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো তখন রাসুল (স.) এই দোয়াটি পড়তেন। (সহিহ বুখারি: ১০৩২; মেশকাত: ১৫০০) 

তাছাড়া বৃষ্টি চলাকালীন দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না বলে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, দুই সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না- আজানের সময় দোয়া এবং রণাঙ্গনে শত্রুর মুখোমুখি হওয়াকালের দোয়া। অন্য বর্ণনামতে, বৃষ্টির সময়ের দোয়া। (আবু দাউদ: ২৫৪০)

তাই আমাদের উচিত বৃষ্টিপাতের সময় বেশি বেশি দোয়া করা। আবার, অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বা ক্ষতিকর মনে হলে এই দোয়াটিও পাঠ করা সুন্নত। রাসুল (স.) অতিরিক্ত বৃষ্টিতে হাত উঠিয়ে দোয়া করেছিলেন- اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা হাওয়াইলাইনা ওয়া আলাইনা’। অর্থ- হে আল্লাহ! আমাদের এখানে নয়, আশেপাশে বৃষ্টি বর্ষণ করুন।’ (বুখারি: ১০১৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বৃষ্টিপাতের সময় নবীজির অনুসরণে দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।