মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৭৪হাজার শিক্ষকরা পাবে বর্ধিত বেতন

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৭৪হাজার  শিক্ষকরা পাবে বর্ধিত বেতন

ছবিঃ সংগ্রহীত

ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌছে দেওযার জন্য কাজ করছে সরকার।হাতে নিয়েছে নানা ধরণের প্রকল্প। তারই ধারবাহিকতায় সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার। এতিমধ্যে এই প্রকল্পের ষষ্ঠ পর্যায়ের কাজ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে।আর এই কার্যক্রম চলমান রাখতে জানুয়ারি ২০২০ থেকে সপ্তম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৭৪হাজার জনবল।

 সপ্তম পর্যায়ের এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ হাজার পরিবার উপকৃত হবে। বর্ধিত হারে বিভিন্ন পর্যায়ের এই ৭৪ হাজার জনবল বেতন পাবে। করোনার কারণে একনেক না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে প্রকল্পটি সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছেন। গত ২৭ বছর ধরে ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন থেকে জিও জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানা গেছে।

করোনার কারণে একনেকের বৈঠক বিলম্বিত হওয়ায় প্রকল্পের অনুমোদন আটকে ছিল। ফলে চলমান এই কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত জনবল ও তাদের পরিবারগুলো কষ্টে জীবনযাপন করছে। তাই মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী সোমবার প্রকল্পের অনুমোদন দেন। আর গতকাল বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ থেকে জিও দেয়া হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন মাসের বেতন তারা একসাথে পাবে। প্রকল্পের সাথে জড়িত সারা দেশের ৭৩ হাজার ৭৬৮টি মসজিদ ও মক্তব উপকৃত হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্মকা- ও শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যেই এ প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছে সরকার। এই প্রকল্পে মসজিদের ইমামরা শিক্ষা কেন্দ্রে শিশু শিক্ষার্থীদের বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, আরবি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে আসছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হার বেড়েছে। প্রকল্পটির আওতায় অধিকাংশই সমাজের অবহেলিত, দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে দুইটি করে দারুল আরকাম মাদরাসা পরিচালনা করা হবে।