১৪৪২ ফিলিস্তিনি হাফেজ ১ বৈঠকে সম্পূর্ণ কোরআন শোনালেন

১৪৪২ ফিলিস্তিনি হাফেজ ১ বৈঠকে সম্পূর্ণ কোরআন শোনালেন

ছবিঃ সংগৃহীত।

ফিলিস্তিন মানেই নির্যাতনের শিকার এক জনপদের নাম। সেখানে বছরের পর বছর ইসরাইলী সেনা সরাসরি গুলি করে ফিলিস্তিনি তরুণদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রায় সময় বোমা হামলা চালায় এতে অসহায় মানুষগুলো নির্মমভাবে নিহিত হন। প্রায় দিন গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের ঘরবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভুমি দখল করতে করতে এখন সামান্য পরিমাণ ভূমিতে কিছু ফিলিস্তিনি বসবাস করছে। বাকীরা হয় নিয়ত নয় পালিয়ে বিভিন্ন শিবিরে বসবাস করছে।

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা অঞ্চলে এক বৈঠকে সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন শোনালেন ১৪৪২ জন হাফেজ। এ উপলক্ষে তাদের বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) গাজা শহরের ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে তাদের এ সম্মাননা দেয়া হয়।

গাজার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা দারুল কোরআন আল-করিম ওয়াস সুন্নাহ। ‘সাফওয়াতুল হুফফাজ’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে এক বৈঠকে পুরো কোরআন মুখস্থ শুনানিতে তারা অংশ নেন।

দারুল কোরআন আল-করিম ওয়াস সুন্নাহর পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ড. আবদুর রহমান আল-জামাল বলেছেন, ‘সবার অন্তরে পবিত্র কোরআনের প্রতি মর্যাদা বৃদ্ধি করতে আমরা এই আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। যারা পুরো কোরআন এক বৈঠকে মুখস্থ শুনিয়েছে, আমরা তাদের সম্মাননা দিয়েছি। যারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে এর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে মহান আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে এখন সবার মধ্যে এক বৈঠকে কোরআন শোনানোর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, শিশুসহ বিভিন্ন পেশার নানা বয়সী পুরুষ ও নারী আমাদের উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। তাই দৃঢ় ইচ্ছা থাকলে কোরআন মুখস্থ করার ক্ষেত্রে কোনো কিছু প্রতিবন্ধক হতে পারে না।’

এর আগে গত ১৫ ‘সাফওয়াতুল হুফফাজ’ প্রকল্পের প্রথম পর্বে ১৪৭১ জন হাফেজ পুরো কোরআন এক বৈঠকে শোনান। তাতে শিক্ষক, চিকিৎসক, সেনা কর্মকর্তাসহ নানা পেশার নারী ও পুরুষরা অংশ নেন।

এতে আট বছর বয়সী শিশু থেকে ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধরা ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের কোরআন শোনানোর ছবি ও ভিডিও সবার নজর কাড়ে।

দারুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলের একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালে সব বয়সীদের মধ্যে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা প্রসারে তা প্রতিষ্ঠিত হয়। কাতারসহ বেশ কিছু দেশ গাজা এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় এ প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে থাকে।

গত বছর প্রথমবারের মতো সংস্থাটি এক বৈঠকে কোরআন শোনানোর আয়োজন করে। তাতে ৫৮১ হাফেজ অংশ নিয়েছিলেন।

সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির