রংপুর নগরীর বস্তি এলাকার ৩৮ ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার

রংপুর নগরীর বস্তি এলাকার ৩৮ ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার

সংগৃহীত

রংপুর নগরীর বস্তি এলাকার অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের ৩৮ দশমিক ৬০ ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার। শতকরা ৬৭ ভাগ শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া বস্তির শিশুদের মধ্যে বেশি ওজনের শিশুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এসব এলাকায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে।

সোমবার দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টিহীনতা যাচাইয়ের ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ সভায় জানান, চলতি বছরের ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিসেফের সেভ দ্যা চিলড্রেনের সহযোগিতায় অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়। নগরীর বিভিন্ন বস্তি এলাকার ৪ হাজার ৪০৬ জন শিশুকে নিয়ে এ জরিপ কার্যক্রমে ২৮ দশমিক ৩৬ ভাগ শিশু ওজনে বেশি এবং ৩৩ দশমিক ৪ ভাগ শিশু স্বাভাবিক শিশু হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ ছাড়া ৭২ জন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশু চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব শিশু’র সুস্থতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে সিটি করপোরেশন।

ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ বলেন, সিটি করপোরেশনের এ জরিপ থেকে প্রতীয়মান হয় যে নগরীর বস্তি এলাকায় ৫ বছরের নিচের শিশুদের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তাদের অধিকাংশ অপুষ্টি কিংবা বেশি ওজনের হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। এ থেকে বোঝা যায় নগরীতে এখনো শিশুরা জেন্ডার বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এছাড়া ৩০০ জন অভিভাবকের উপর শিশুর পুষ্টিকর খাবার প্রদানের বিষয়টি নিয়ে জরিপ করা হলে, তারা বেশির ভাগই এসব বিষয়ে জানেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, সচিব উম্মে ফাতিমা, সেভ দ্যা চিলড্রেনের জনস্বাস্থ্য তথ্যবিদ ডা. পলাশ কুমার রায়।