ইবির আল-হাদিস বিভাগে প্রথম পুনর্মিলনী

ইবির আল-হাদিস বিভাগে প্রথম পুনর্মিলনী

ইবির আল-হাদিস বিভাগে প্রথম পুনর্মিলনী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে প্রথমবারের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করে বিভাগটি। এতে বিভাগের ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সকাল সাড়ে দশটায় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষদ ভবনের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালি বের হয়। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাদা রংয়ের টি-শার্ট ও ক্যাপ পড়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।

আলোচনাসভায় বিভাগের সভাপতি ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ মাকসুুদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক এইচ এ এন এম এরশাদ উল্লাহ ও বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক আ খ ম ওয়ালীউল্লাহ।

এছাড়াও প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরীন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আ হ ম নুরুল ইসলাম অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। পরে বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

পুনর্মিলনীতে এসে দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। অনেকে সপরিবারে পুনর্মিলনীতে অংশ নেন। বিভাগের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম মুক্তারুল মুস্তফা টিপু অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রায় ২৬ বছর পর প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরেছি। ক্যাম্পাসে এসে বন্ধু, সহপাঠী ও শিক্ষকদের পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিলাম, পুনর্মিলনী উপলক্ষে সবাই একসাথে হয়েছি। মনে হচ্ছে আমি আবারো ২৬ বছর আগে ফিরে গেছি।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এই পুনর্মিলনীর দিনটি এই বিভাগের ইতিহাসের একটি আকড় দিন। সাবেক শিক্ষার্থীরা একেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বাসেডর। তারাই দেশ ও দেশের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি অগ্রগতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে। আল-হাদিস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের যে পুনর্মিলন হয়েছে, এই মিলনমেলা থেকে আগামীদিনে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় সেই সহযোগিতা পাবে এটিই প্রত্যাশা।’