দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি

দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি

সংগৃহীত

দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি। এসব নদীপথ ২২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা বিষয়ক সেমিনারে এই তথ্য জানায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক হাইড্রোলজিস্ট মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ও সংজ্ঞা নির্ধারণ করার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।

আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, সারা দেশের জেলা, উপজেলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের নদীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে এখন ১ হাজার ৮টি নদী আছে। যার দৈর্ঘ্য ২২ হাজার কিলোমিটার। নদীর সংখ্যা নির্ধারণে কোনো ব্যয় হয়নি।

জানা গেছে, এর আগে ১০ আগস্ট দেশের সব নদ-নদীর একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল নদী রক্ষা কমিশন। ওই তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ৯০৭টি। ওই তালিকা প্রকাশের পর পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন আপত্তি জানায়।

আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের প্রতিটি জেলার ওপর দিয়ে ২০টি নদী প্রবাহিত হয়। আর সর্বোচ্চ ৯৭টি নদী সুনামগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দেশে তেল, গ্যাস, সোনা বা সম্পদ নাই থাকতে পারে। তবে নদীর মতো বড় সম্পদ আছে। যেটা কখনো গোনায় ধরা হচ্ছে না।

নদীর সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০০ কিলোমিটারের ওপরে আছে দুইটা নদী। পদ্মা ও ইছামতি। ইছামতী নদীই আছে ১১টি। বিভিন্ন জায়গায় এই নামে পরিচিত। ২৮০ কিলোমিটারের ওপরে আছে ৫টি নদী। ২০০ থেকে ২৭৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আছে ৯টি নদী আছে। ১০০ থেকে ১৯৯ কিলোমিটারের মধ্যে আছে ৪২টি নদী। ৫টি নদী আছে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে। ১০ থেকে ৯৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আছে ৪৮০টি নদী। ১ থেকে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আছে ৩৭৬টি নদী। ১ কিলোমিটারের কম ৪১টি। আর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে তথ্য নেই ৫৫টির।

চলাচলযোগ্য নৌপথ :
নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে দেশে ২২ হাজার কিলোমিটার নৌপথ থাকলেও বাস্তবে নৌযান চলাচল উপযোগী নৌপথের সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যমতে, দেশে ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল করতে পারে এমন নৌপথের দৈর্ঘ্য নিয়ে শুষ্ক মৌসুমে চার হাজার ৮০০ কিলোমিটার। আর বর্ষা মৌসুমে সাত হাজার ৬০০ কিলোমিটারে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, আমাদের সামনে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে-নদী দখল ও দূষণ। নদী দূষণ হলে নৌপর্যটনের বিকাশ ঘটবে না। আর দখলের কারণে নদীর প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে।