পর্যটকের ঢল কুয়াকাটা সৈকতে

পর্যটকের ঢল কুয়াকাটা সৈকতে

সংগৃহীত

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ শব্দ করে গড়িয়ে পড়ছে সৈকতে। একই সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেও থেমে নেই পর্যটকের আগমন। সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দে মেতেছেন তারা। 

সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল নামে। কেউ ঘুরেন ঘোড়া কিংবা ওয়াটার বাইকে। আবার কেউ সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করেন প্রকৃতি। আগতদের ভিড়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেড়েছে বেচা বিক্রি। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের দু’পাশে আগত পর্যটকদের পদচারনায় এখন মুখরিত হয়ে উঠে। এছাড়া ট্যুরিস্ট স্পট লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁত পল্লী, তিন নদীর মোহনা ও লাল কাকড়ার চড়েও রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পর্যটক শানজিদা আক্তার তুলি জানান, এর আগে বেশ কয়েকটি ফেরি পার হয়ে কুয়াকাটায় আসতে হতো। তখন অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। এখন ঢাকা থেকে মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটা আসতে পারছি। তবে এখানে এসে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। 

হোটেলে কানসাই'র স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দীন বিপ্লব জানান, তার হোটেলে সব রুম বুক হয়ে গেছে।
ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাই আমির বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা সংঙ্গীত পরিবেশন করবেন। এছাড়া তিন দিনের সরকারি ছুটিতে কুয়াকাটায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দর্শনীয় স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।