ইবিতে খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রথম পুনর্মিলনী

ইবিতে খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রথম পুনর্মিলনী

ইবিতে খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রথম পুনর্মিলনী

প্রথমবারের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে পুনর্মীলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) ক্যাম্পাসে এ মিলনমেলার আয়োজন করে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি প্লেয়ার্স এসোসিয়েশন। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের সামনে থেকে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের নিয়ে আনন্দ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এতে ১৯৯৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত দুই শতাধিক খেলোয়াড়

পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রমো গ্রুপের চেয়ারম্যান সিআইপি পদকপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মহসিন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও বিশ^বিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা শাহ মঞ্জুরুল হক, এ এন এইচ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাদ্দেস হানিফ টলিন ও বিশ^বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ আলম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার জোদ্দারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ক্রীড়া বিভাগের উপ-পরিচালক ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. আসাদুর রহমান এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের অর্জন নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে অতিথি ও সাবেক খেলোয়াড়রা তাদের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন স্মৃতিচারণ ধরেন। বক্তারা বিশ^বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় ভর্তি নিশ্চিতকরণ, একটি স্থায়ী স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল নির্মাণের প্রস্তাবনা দেন। শেষে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মাননা দেওয়া হয় ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘প্লেয়ারদের নিয়ে পুনর্মিলনী একটি ব্যাতিক্রমী আয়োজন। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত থাকা সবাইকে একসঙ্গে করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্রীড়া জগতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সাবেক খেলোয়াড়রা নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়ালে এটি অনেক সহজ হবে। খেলার মান বৃদ্ধি করতে ও অধিক সংখ্যক খেলোয়াড় পেতে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজজ্ঞান বিভাগ খোলা হয়েছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া অঙ্গনে সামনের দিনে আরো উন্নতি করবে। তিনি অনুষ্ঠান থেকে প্রস্তাবিত স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল স্থাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।