মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি

মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি

সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে ট্রাক ডাকাতি করে চালক ও হেলপারকে হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক।

সোমবার মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন যাবজ্জীবন এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২০১ ধারার অপরাধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়াকৈর গ্রামের বদর উদ্দিন ওরফে বদু, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মো. ইসলাম ওরফে কালু, একই গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখ এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার হারবাইদ গ্রামের বিল্লাল শিকদার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামের বাবু মিয়া, শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাবুল শেখ, একই উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আখের আলী, ভোলার লালমোহন উপজেলার কলমা গ্রামের শাহ আলম এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাহপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন।

এদের মধ্যে শুধু আসামি আখের আলী রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আদালত ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ৬ আগস্ট সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দর থেকে পাথর নিয়ে ট্রাকচালক জয়নাল (৪০) ও হেলপার রুবেল (২৮) গাজীপুরের শ্রীপুর যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে আসামিরা মানিকগঞ্জ থেকে ট্রাকটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এরপর ট্রাকচালক জয়নাল ও হেলপার রুবেলকে হত্যা করে মরদেহ রাতেই মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখৈড়া ব্রিজের কাছে ফেলে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন ৭ আগস্ট ঘিওর থানা পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

পরে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর ট্রাকচালক জয়নালের ভাই হারুনর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।

আলোচিত এই হত্যার মামলাটি প্রথমে ঘিওর থানার এসআই এনামুল হক ও পরে মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই আবদুস সালাম। মামলাটি তদন্ত শেষে ৯ জনকে আসামি করে গত ২০১১ সালে ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাকত ছিলেন।

এই মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে এপিপি মথুর নাথ সরকার ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।