ভেড়ামারায় অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ

ভেড়ামারায় অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ

ছবিঃ সংগৃহীত।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্ষন্ত দুইশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাস্তা প্রশস্তকরণের নিমিত্তে ভেড়ামারা পৌর শহরে দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩টি বুলডলার দিয়ে পাকা স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্ষন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুজ্জামান জানান, ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্ষন্ত প্র্রায় ২০০টি দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে মালিকাধীন ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার অপসারণ করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দোকানপাটের জন্য বরাদ্দকৃত লিজ বাতিল করে পৌরসভার অনুকূলে নতুন করে লিজ দেয় এবং পরবর্তী দখলদারদের দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। যার প্রেক্ষিতে দখলদাররা নিজ নিজ মালামাল সরিয়ে নেয় এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সোমবার ৩টি বুলডলার দিয়ে পাকা স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেড়ামারা পৌরসভাকে তার লীজকৃত জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উচ্ছেদকৃত দোকানদার মসলেম হোসেন জানান, দোকানপাট উচ্ছেদ করায় আমরা আজ রাস্তায় দাড়িঁয়েছি। সময় চাওয়ার পরও আমাদের কে সময় দেওয়া হয়নি। দোকানের মালামালসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। রাস্তা হবেই কিন্তু একটা দিন সময় মুঞ্জর করলে ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান হতো না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার কাঁদতে কাঁদতে জানান. আমার সব শেষ আমার লক্ষ লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে ব্যবসা। স্যাররা একটা দিন সময় দিলে আমার এতবড় ক্ষতি হতো না। চারিদিকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মাঝে শোকের ছায়া।

ভেড়ামারা পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল জানান, ভেড়ামারা পৌরসভার ৩ নং জিকে ব্রীজ থেকে হিসনা নদী ব্রীজ পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়কটি প্রশস্তকরণের দাবী ছিলো জনগণের দীর্ঘদিনের । উক্ত রাস্তা ২ লেনের পরিবর্তে ৪ লেনে রূপান্তর কাজ করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে মালিকাধীন ভূমি ভেড়ামারা পৌরসভাকে লীজ দেয়। ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্ষন্ত দুই শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করে পৌরসভাকে তার লীজকৃত জায়গা বুঝিয়ে দেয়। শীঘ্রই ৪ লেন রাস্তার কাজ শুরু হবে।